কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে শসা, গাজর ও টমেটোর দাম। ঈদে সালাদ তৈরিতে এসব সবজির গুরুত্ব রয়েছে, আর এ চাহিদার কারণেই এসব সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা এমনটাই অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম হওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) বিকেলে উপজেলার সদর বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ সামনে রেখে কাঁচাবাজার ও মসলার বাজারে ক্রেতাদের ভিড়।
তবে ঈদ উপলক্ষে বেড়েছে কিছু কিছু মসলা ও সবজির দাম। ঈদে সালাদ একটি সামাজিক আয়োজন। এই সালাদ তৈরিতে ব্যবহার করা শসা, গাজর ও টমেটোর দাম হঠাৎ করেই আকাশচুম্বী হওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে। এছাড়াও টমেটো ও গাজরের দামও নেই হাতের নাগালে। বাজারে গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় ও টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।
উপজলার সদর বাজারে কথা হয় সবজি বিক্রেতা কাউসার মিয়া, সফিকুল ইসলাম ও আরও কয়েকজনের সঙ্গে। তারা বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনে এনে সামান্য লাভেই বিক্রি করছি। এসব সবজির বর্তমান বাজারে চাহিদা থাকায় এসব সবজির সরবরাহ কমে গেছে। তাই এসব সবজি আমরা পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামেই কিনে আনতে হচ্ছে।
একই বাজারে সবজি কিনতে আসা কামরুজ্জামান বলেন, ধর্মীয় উৎসবসহ যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের আগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্ট জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়। এবারও পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাজারে শসা, গাজর ও টমেটোসহ আরও কিছু জরুরি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
একই বাজারে সবজি কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা অভিযোগ তোলে বলেন, প্রতিবারই ঈদ এলে মসলা ও কাঁচাবাজারের কিছু কিছু পণ্যের দাম হঠাৎ করেই আকাশচুম্বী হয়ে যায়। এতে সাধারণ ক্রেতাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও ) স ম আজহারুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ঈদকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ী যারা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে আগামীকাল বাজারগুলোতে অভিযান চালাব।
মন্তব্য করুন