বগুড়ায় কোরবানি পশুর হাটে দেখা মিলেছে সৌদি আরবের প্রাণী দুম্বার। গরু, ছাগল ও মহিষের পাশাপাশি দুম্বাও উঠেছে হাটে। বগুড়া শহরতলীর বনানীর সুলতানগঞ্জ পশুর হাটে দেখা মিলেছে এই দুম্বার। এই হাটে এবার এটার ছিল বিশেষ আকর্ষণ। নাদুসনুদুস স্বাস্থ্যের দুম্বাটি বাহ্যিক সৌন্দর্য হাটে আসা মানুষের নজর কেড়েছে। সাদা রঙের দুম্বাটির দাম হাঁকা হয়েছে ৪ লাখ টাকা।
শুক্রবার (১৪ জুন) বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের কদমতলী এলাকার রাকিবুল ইসলাম সাগর কোরবানি পশু হিসেবে বিক্রির জন্য দুম্বাটি হাটে আনেন।
রাকিবুল ইসলাম স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, আড়াই বছর আগে আমি ঢাকা থেকে পাঁচটি দুম্বা কিনেছিলাম। পরে সেগুলোকে লালন-পালনের মাধ্যমে বড় করে কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করি। এর মধ্যে তিনটি বিক্রি করেছি। বাড়িতে একটি আছে আর একটি হাটে নিয়ে এসেছি। দুম্বাটির চারটি দাঁত। মাংস হবে প্রায় ১০০ কেজি। দাম চেয়েছি ৪ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত তিন লাখ টাকা দাম করেছেন ক্রেতারা। দরদামে মিলে গেলে সাড়ে তিন লাখ টাকায় দিয়ে দেব।
হাটে আসা ক্রেতা মো. আলীমুজ্জানান জানান, দুম্বা দেখে ভালো লাগল। তবে বাজেট নেই। আগে যদি জানতে পারতাম বগুড়ায় দুম্বা পাওয়া যায় তাহলে বন্ধুদের নিয়ে গ্রুপ করে দুম্বা কিনে কোরবানি দিতাম।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির জন্য জেলায় ৪৮ হাজার ৪৫৩ জন খামারি ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫১টি পশু প্রস্তুত করেছেন। গত বছর ছিল ৭ লাখ ২৬ হাজার ৪৯৫টি। প্রস্তুতকৃত পশুর সঙ্গে এবার বেড়েছে কোরবানির পশুর চাহিদা। জেলায় এবার কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪১৫টি। যা গত বছরের তুলনায় ৮ হাজার বেশি। কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে গরু ২ লাখ ৭০ হাজার ৪১টি, ছাগল ৪ লাখ ২২ হাজার ৬৫৭টি, ভেড়া ও গারল ৩৯ হাজার ৮৫১টি এবং মহিষ ২ হাজার ২৬৬টি। এসব পশু এবার বগুড়া জেলায় চাহিদা পূরণ করেও ২৯ হাজার ১৫৫টি উদ্বৃত্ত থাকবে।
মন্তব্য করুন