খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় পাহাড়ের মাটিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড চড়পাড়ার বাসিন্দা কৃষক আব্দুর রব।
কৃষি উন্নয়ন বিভাগের ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (আইডিএফ) কর্মকর্তাদের পরামর্শে ও সহযোগিতায় ২০ শতক জমিতে (ব্ল্যাক বেবি) জাতের তরমুজ চাষ করেন তিনি।
অসময়ে থোকায় থোকায় তরমুজ ধরে আছে তা দেখতে দূর থেকে উৎসুক মানুষ ভিড় করছে। আব্দুর রবের তরমুজ চাষ দেখে এলাকার অনেক কৃষক তরমুজ চাষে আগ্রহী উঠছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড চড়পাড়ায় বিষমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতি অনুসরণ করে এক খণ্ড জমিতে মাচার ওপরে সবুজ পাতার নিচে ঝুলছে কালো রঙের তরমুজ। তরমুজের ভরের ভারসাম্য রক্ষায় প্রতিটি তরমুজকে লাল জালি দিয়ে ঝোলানো হয়েছে। পূর্বে এ জমিতে আলু, ঝিঙাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করা হতো। এ জমিতে ২০ হাজার টাকা খরচ করেছেন আব্দুর রব। ফলন ভালো হলে আড়াই লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কৃষক আব্দুর রব বলেন, আগে এ জমিতে সবজির চাষ করছি। আইডিএফর পরামর্শে ও অনুপ্রেরণায় আমি তরমুজ চাষে আগ্রহী হই। তরমুজের ভালো ফলন হয়েছে। এসব তরমুজ একদিকে যেমন ভোক্তাদের চাহিদা মেটাবে, অন্যদিকে দাম ভালো পাওয়ার পাশাপাশি গ্রীষ্মকালে সকলে তরমুজের স্বাদ নিতে পারবে।
ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (আইডিএফ) কৃষিবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ জাতের তরমুজ চাষে কৃষকদের আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিতা করছে (আইডিএফ)। ভবিষ্যতে কৃষকরা এ জাতের তরমুজ চাষে আগ্রহী হলে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা দেবাশীষ চাকমা কালবেলাকে বলেন, তরমুজ চাষে শুরু থেকে রোগবালাই দমনে বিভিন্ন পরামর্শসহ জৈব বালাইনাশক স্প্রে করতে বলা হয়েছে। এসবের ফলে বর্তমানে ফসলের অবস্থা সন্তোষজনক। আশা করি, কৃষক বেশ লাভবান হবেন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সবুজ আলী কালবেলাকে বলেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলায় এ প্রথম ব্ল্যাক বেবী জাতের তরমুজ চাষ করা হয়েছে। এ জমিতে প্রায় ৭০০ তরমুজ রয়েছে। যেখানে ধান চাষ করলে কৃষক এতটা লাভবান হতো না যতটা তরমুজ চাষে হচ্ছে। মাঠ ফসলের পাশাপাশি এসব লাভজনক ফসল চাষ করলে কৃষক লাভবান হবেন। এ জাতের তরমুজ চাষ করতে সকল কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে।
মন্তব্য করুন