লালমনিরহাট ও হাতিবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৪, ১০:৫৯ পিএম
আপডেট : ১৪ জুন ২০২৪, ১১:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ডুবে গেছে ফসলি জমি

খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের তিস্তা নদী তীরবর্তী বাগডোরা এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। ছবি : কালবেলা
খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের তিস্তা নদী তীরবর্তী বাগডোরা এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। ছবি : কালবেলা

উজানের অব্যাহত ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে বৃদ্ধি পাচ্ছে তিস্তা নদীর পানি। দেখা দিয়েছে বন্যা। পানি প্রবেশ করছে তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে।

শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ ৫১ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।

তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি প্রবাহ বেড়ে একই পয়েন্টে সকাল ৯টা থেকে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। সারাদিনে পানিপ্রবাহ আরও কিছুটা বেড়ে সন্ধ্যা ৬টায় ৫১ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।

তবে একই সময় তিস্তা কাউনিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় বিপৎসীমার মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচে। এদিকে পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ১৩ জুন দুপুর থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। পরে সন্ধ্যা ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরে রাতে পানি প্রবাহ আরও বৃদ্ধি পায়।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম জানান, ভারতের সিকিমে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে সেখানে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। আর তিস্তায় সেই পানি প্রবেশ করায় নদী তীরবর্তী কিছু কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে।

জানা গেছে, তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়ন, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ইউনিয়ন, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি ইউনিয়ন, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী এবং পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এসব ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী চরের বাদাম ক্ষেত, ধান বীজতলা, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করেছে।

তিস্তা দোয়ানী গ্রামের কৃষকরা জানান, ভারতে বন্যা হয়েছে। ওই পানি যদি আমাদের বাংলাদেশের দিকে ছাড়ে তখন আমাদের এলাকায় বন্যা দেখা দিবে। এতে অনেক ক্ষতি হবে। যখন পানি চাই তখন পাই না, বর্ষাকালে আমরা পানি দিয়ে কী করব।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় জানান, ভারতের সিকিমে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে উজানের পানি ব্যাপকহারে তিস্তা নদীতে প্রবেশ করলে বাংলাদেশ অংশের তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক শুভশক্তির অনুপস্থিতি ও পথভ্রষ্টের অগ্রগতি

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে ‘ল’ অ্যালামনাই রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত

সরকার ভুল সিদ্ধান্ত নিলে অবশ্যই সমালোচনা করবেন : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ঢাকায় ম্যানেজার নেবে মদিনা গ্রুপ

সিমেন্ট শিল্পের সংকট ও সম্ভাব্য সমাধান শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

নাফীসের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানাল বিসিবি

মাসজুড়েই বন্যার শঙ্কা

আবারও মহাসড়ক অবরোধ করলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে / চলমান শিক্ষক আন্দোলনের দ্রুত যৌক্তিক সমাধান জরুরি

কোয়ার্টারে ব্রাজিলের ম্যাচে আর্জেন্টিনার রেফারি

১০

তিস্তার পানির ব্যবস্থাপনায় পাশে থাকবে মোদি জানালেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

১১

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেবে সেভ দ্য চিলড্রেন

১২

চাঁদ জয়ের প্রস্তুতি নিতে শিশুদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

১৩

৬ষ্ঠ দিনেও আন্দোলনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

১৪

টিউলিপ কী মন্ত্রী হচ্ছেন?

১৫

বন্যা নিয়ে দুঃসংবাদ দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রীর

১৬

জিম্মিদের মুক্তিতে মার্কিন প্রস্তাবে সম্মত ফিলিস্তিনিরা

১৭

নিজ এলাকায় চিকিৎসা নিতে এমপিদের অনুরোধ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

১৮

দেশের প্রথম আইন বিশ্ববিদ্যালয় হবে শিবচরে : আইনমন্ত্রী

১৯

তাঁতীবাজার সড়ক অবরোধ / গান-কবিতায় বেগবান হচ্ছে জবি শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন

২০
X