সিলেটের কানাইঘাটে ছাগলে সবজি খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আহত শাহিন আহমদ (২৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, গত রোববার দুপুর ১২টার দিকে জয়ফৌদ কাজিরগ্রামের আনছার আলীর ছেলে সুলেমানের সবজি ক্ষেতে একই গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিনের চাচাতো ভাই বিলাল আহমদের ছাগল বাগানের সবজি খেয়ে ক্ষতি করে। এ সময় সুলেমান ছাগলটিকে তাড়িয়ে নিয়ে বিলাল আহমদের বাড়িতে গেলে কথাকাটাকাটির জেরে বিলাল আহমদের বাড়ির লোকজন সুলেমানকে মারধর করেন। সুলেমান তার চাচাতো ভাই আবু বক্করকে ঘটনাটি জানালে আবু বক্কর স্থানীয় সড়কের বাজারে গিয়ে বিলাল আহমদের চাচাতো ভাই স্থানীয় ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিনের কাছে বিচার দেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, এতে ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় লাঠি-সোটা নিয়ে আবু বক্করের ওপর হামলা চালালে তিনি প্রাণের ভয়ে দৌড়ে গিয়ে শাহজাহান কমপ্লেক্সের একটি দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেন। বাজারে অবস্থানরত আবু বক্করের ভাই গরু ব্যবসায়ী শাহিন আহমদ তার পরিবারের আরও কয়েকজন হামলাকারীদের হাত থেকে আবু বক্করকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। তখন ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে তার বাড়ির লোকজন ধারালো দা, রুইল, রড, লাঠি-সোটা নিয়ে শাহিন আহমদ ও তার ভাইদের ওপর অতর্কিত হামলা চালালে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে গুরুতর আহত শাহিন আহমদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে মারা যান।
নিহতের বড় ভাই আবু বক্করসহ পরিবারের লোকজন জানান, বিগত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ইউপি সদস্য পদে নাজিম উদ্দিনকে তারা ভোট না দেওয়ায় নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন তাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। সবজি ক্ষেত ছাগলে খাওয়ার পর বিচার প্রার্থী হওয়ায় ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্ব আক্রোশে হামলা চালায়। তারা শাহিন আহমদ হত্যাকাণ্ডে মূল আসামি নাজিম উদ্দিনসহ হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি জানান।
কানাইঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, সংঘর্ষে নিহত শাহিন আহমদের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে। ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন