শেরপুরে সরকারি ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশ (টিসিবি) আদলে কার্ড তৈরি করে বাজারমূল্যের চেয়ে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কম মূল্যে প্রতারণার মাধ্যমে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ আটা, তেল, চিনিসহ নকল সার্ফএক্সেল ডিটারজেন্ট পাউডার বিক্রি করে আসছিল ‘My Shop’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান। এ অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে জেলার শ্রীবরদী উপজেলার ধাতুয়া বাজারে এনএসআই ওই অভিযান পরিচালনা করে। পরে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ জাবের আহমেদ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর একটি ধারায় প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মো. রাসেল জামানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ভেজাল পণ্যসমূহ জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত মালামালগুলো হলো- ৪০০ কেজি নিম্নমানের ডাল, ৪০০ কেজি ভেজাল চিনি, ৮০০ লিটার ভেজাল সয়াবিন তেল, ৯৫০ কেজি মেয়াদোত্তীর্ণ আটা, ৩৫০ কেজি ভেজাল লবণ এবং ৩৬৩ কেজি নকল সার্ফএক্সেল ডিটারজেন্ট পাউডার। এসব পণ্যের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা।
জানা যায়, একটি চক্র অতি নিম্নমানের, মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল দ্রব্যমূল্য বাজারজাত করে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে এমন অভিযোগে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়। এর অংশ হিসেবে শ্রীবরদী উপজেলাধীন গোশাইপুর ইউনিয়নের ধাতুয়া বাজারে এসব খাদ্যপণ্য বিক্রির সময় বিক্রয় প্রতিনিধিসহ মালামাল জব্দ করে এনএসআই শেরপুর। এ সময় বিভিন্ন ভেজাল দ্রব্যমূল্যসহ প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয় প্রতিনিধি মো. হাসানকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে খবর দিলে তিনি মোবাইল কোর্টে এ জরিমানা করেন।
এ বিষয়ে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাবের আহমেদ বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পণ্যের মেয়াদ এবং উৎপাদন তারিখ বিহীন নিম্নমানের খাদ্যপণ্য অসাধু পন্থায় বিক্রির অপরাধে জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা পণ্য জব্দ করা হয়েছে। বিধি মোতাবেক সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ড যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন