নওগাঁর রাণীনগরে মাটি দিয়ে একটি কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মুনির নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এতে করে উপজেলার খলিশাকুড়ি গ্রামের ওই কালভার্টটি দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ওই এলাকার মাঠের প্রায় এক হাজার বিঘা জমির পানি নিষ্কাশন নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কালিগ্রাম ইউনিয়নের খলিশাকুড়ি গ্রামের আনালিয়া মৌজায় সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত প্রায় তিন বিঘার একটি সরকারি খাস পুকুর রয়েছে। পুকুরটি মসজিদের ভোগদখলের দোহাই দিয়ে গত কয়েকদিন আগে থেকে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ভেকু মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে সরকারি পুকুর থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছেন। আর ওই পুকুর থেকে খলিশাকুড়ি গ্রামের মুনির নামে এক ব্যক্তি মাটি কিনে তার ফসলি জমি ভরাট করছেন। জমির সঙ্গে রাস্তার কালভার্টটির মুখও ভরাট করেছে তিনি। এতে করে ওই এলাকার খলিশাকুড়ি, করজগ্রাম, মাধাইমুড়িসহ কয়েকটি ফসলের মাঠের পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় লুৎফর, হামিদুল, মুন্টু, আনছারসহ বেশ কয়েকজন জানান, আমরা গ্রামের লোকজন বাধা দিলেও মুনির আমাদের কথা শোনেনি। তিনি কালভার্টের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করে বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের অভিযোগ- এর আগেও মুনির গ্রামের আরেকটি কালভার্টের মুখ বন্ধ করেছে। সেটিও এখন পর্যন্ত বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। এতে করে এলাকার প্রায় এক হাজার বিঘা জমির পানি নিষ্কাশন নিয়ে আমরা শঙ্কায় পরেছি। দ্রুত কালভার্ট দুটির মুখ বের করে পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তাদের।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কালভার্টের মুখ ভরাটকারী মুনির বলেন, আমার জমি আমি ভরাট করেছি। আপনাদের যা করার আছে আপনারা করেন।
এ ব্যাপারে রাণীনগর ইউএনও উম্মে তাবাসসুম বলেন, কালভার্টের মুখ ভরাট করে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করার কারও এখতিয়ার নেই। আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
মন্তব্য করুন