দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে সংসার চালানোর টানাপড়নে ঈদে পরিবারের সবার মুখে হাসি ফোটাতে মাংস কাটার খাইট্টা বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভ্যানচালক মো. আব্দুল কালাম। বাড়তি টাকা উপার্জনের আশায় ভ্যান চালানোর পাশাপাশি খাইট্টা বিক্রি করছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে দেখা গেছে, চাঁদপুর সদর উপজেলার সফরমালি বাজারের গরুর হাটে ভ্যানে করে খাইট্টা বিক্রি করছেন কালাম। তিনি সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি কালবেলাকে বলেন, এসব খাইট্টা তৈরি হয় তেঁতুল গাছ ও বেলগাছ দিয়ে। পূর্ণবয়স্ক তেঁতুল বা বেলগাছ গ্রামাঞ্চল থেকে স্বল্পমূল্যে কিনে গোলাকার ছোট পিস করে খাইট্টা তৈরি করা হয়। এরপর এগুলো মাংস ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যান। তবে কোরবানি ঈদে কসাই ছাড়াও সাধারণ মানুষ গরু, খাসি, মহিষসহ গবাদি পশু জবাইয়ের পর মাংস টুকরা টুকরা করতে খাইট্টা কিনে নিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, খাইট্টা বিক্রেতা আব্দুল কালাম হচ্ছে বিষ্ণুপুরের মালবাড়ি। সে খালেক মালের ছেলে। গেল ৯/১০ বছর ধরে তাকে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে দেখা যায়। তবে এবার তিনি খাইট্টা বিক্রি শুরু করেছেন। আকারভেদে খাইট্টার দাম নির্ধারণ করেন আব্দুল কালাম।
আব্দুল কালাম আরও বলেন, আমার ভ্যান চালিয়ে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়। তাই এবার বাড়তি উপার্জনের জন্য কোরবানি ঈদকে টার্গেট করে খাইট্টা নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। আমার দুটি সন্তান রয়েছে। ইচ্ছে আছে খাইট্টা বিক্রির আয় দিয়ে এবার কোরবানির ঈদে সবার মুখে হাসি ফুটাবো।
এ খাইট্টা বিক্রেতা, কয়েকদিন ধরে দিনে ৪-৫ হাজার টাকার খাইট্টা বিক্রি করেছি। কাঠ ভালো হওয়ায় আমি প্রতিটি খাইট্টা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করি। যখন যেখানে গরু-ছাগলের হাট বসে সেখানেই ছুটে যাচ্ছি। এখনো আমার ভ্যানে ৫০টিরও বেশি খাইট্টা রয়েছে।
মন্তব্য করুন