যমুনা নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে তীব্র ভাঙন। তীরবর্তী মানুষগুলো ভাঙন আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। এ অবস্থায় অদূরেই চলছে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আখতার হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলার এনায়েতপুর থানাধীন খুকনী ইউনিয়নের আড়কান্দি-ব্রাক্ষণগ্রাম এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের এ অভিযোগ উঠেছে। উত্তোলিত বালু পাইপের মাধ্যমে ১ কিলোমিটার দূরে নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে যমুনায় ভাঙন আরও বাড়ছে বলে দাবি করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে যমুনা নদীর ডানতীর শাহজাদপুরের খুকনী ও জালালপুর ইউনিয়নের অন্তত ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন চজলছে। ভয়াবহ ভাঙনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে তীরবর্তী ব্রাক্ষণগ্রাম, আড়কান্দি, জালালপুর, পাকড়তলা, হাটপাঁচিল ও মনাকষা গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। এরইমধ্যে এ অঞ্চলের কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ মাদ্রাসা অন্যান্য স্থাপনা ও জমিজমা নদীতে বিলীন হয়েছে।
চলতি মৌসুমে যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় ব্রাহ্মণগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আখতার হোসেনের নেতৃত্বে একটি চক্র নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে বিক্রি শুরু করেছে। তারা ড্রেজার দিয়ে নদী হতে চুরি করে কেটে আনা বালু ভলগেট নৌকায় করে নদীর আড়কান্দি তীরে নেওয়ার পর পাইপের মাধ্যমে এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে এসব বালু বিক্রি করছে।
অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে নদীতে বেড়েছে। বালু ফেলতে কৃষকদের জমির উপর দিয়ে জোড় করে পাইপ টাঙ্গানোসহ নদী থেকে চুরি করে প্রভাব খাটিয়ে বালু তুলছে ঐ চক্রটি। কেউ প্রতিবাদ করলে তারা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, আরকান্দি-ব্রাক্ষণগ্রামে ডেজ্রার দিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করার বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন