চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কম্পাউন্ডের শতাধিক গাছ কেটে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ। গত দুদিন ধরে এ গাছা কাটা হয়েছে। পুকুরের পানি ও হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট করার কারণে এসব গাছ কাটা হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
গাছ কাটার কারণে হাসপাতালের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনে তীব্র দাবদাহের কারণে সরকার যেখানে হাজার কোটি টাকা খরচ করে গাছ লাগাচ্ছেন, সেখানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের এমন আচরণে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের প্রবেশ মুখে প্রায় ২০ থেকে ৩০টি গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়, ভেতরে যেতেই পূর্ব পাশে আরও অর্ধশতাধিক গাছ কেটে রাখা হয়েছে, উত্তর পাশেরও প্রায় সব গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়।
জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার পর পর্যায়ক্রমে হাসপাতাল কম্পাউন্ডে কয়েকশ ফলজ-বনজ গাছ লাগানো হয়। বর্তমানে সে গাছগুলো প্রায় ২০ থেকে ৩০ বছরের পুরোনো হয়ে গেছে। এসব গাছের মধ্যে মেহগনি, কড়াই, আকাশমণিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। তীব্র দাবদাহে এসব গাছ হাসপাতালের পরিবেশকে ঠান্ডা রাখত। এ ছাড়া হাসপাতালের সার্বক্ষণিক জেনারেটরের ব্যবস্থা না থাকায় রোগী ও স্বজনরা এসব গাছের মাধ্যমে শীতলতা অনুভব করত।
কিন্তু দুই তিন দিন আগে হঠাৎ করে এসব গাছ কাটা শুরু করলে লোকজনের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এখন গাছ কাটার কারণে পুরো হাসপাতালজুড়ে তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন সাইফুর রহমান বলেন, এ হাসপাতালে যতবার আসতাম গরমে গাছের ছায়ায় বসতাম, এখন আর এ পরিবেশ নেই। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার যেখানে গাছ লাগাতে বলছেন সেখানে সরকারি কর্মকর্তারা গাছ কেটে ফেলেছে।
জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মামুনুর রশিদ বলেন, এসব গাছ হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট করছে, পুকুরের পানি নষ্ট করছে, কিছু গাছ বিদ্যুতের তারে লাগছে এতে করে রোগীর ক্ষতি হচ্ছে, তাই সিভিল সার্জন, বন বিভাগ ও হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের সঙ্গে কথা বলে নিলামের মাধ্যমে গাছ কাটা হয়েছে।
সরকার যেখানে গাছ লাগাতে গুরুত্ব দিচ্ছে সেখানে পুরো হাসপাতালের এতগুলো গাছ কীভাবে কাটলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা নতুন করে গাছ লাগাব। আবারও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
মন্তব্য করুন