নেত্রকোনার কেন্দুয়ার বিশাল আকারের ষাঁড় গরুটির নাম ‘সাদাপাহাড়’। যার ওজন প্রায় ৩৮ মণ। সাদাপাহাড়ের দাম হাঁকা হয়েছে ১৬ লাখ টাকা। ছয়জন মানুষ গরুটিকে লালন পালন করে আসছেন। ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটির মালিক নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের আটিগ্রাম গ্রামের বুলবুল মিয়া।
ওই গরুর মালিক বুলবুল মিয়া বলেন, আড়াই বছর আগে ৬৮ হাজার টাকায় ৮ মাস বয়সী সাদা রঙের ফ্রিজিয়ান একটি বাছুর কিনে এনেছিলাম। এরপর থেকে গরুটিকে লালনপালন করি এবং শখ করে নাম রাখি সাদাপাহাড়। তার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকে অ্যাঙ্কর, ভুট্টা, ভুসি ইত্যাদি। এতে প্রতিদিন খরচ হয় ১ হাজার টাকার ওপরে। আমরা স্বামী-স্ত্রী ও আমার ৪ ছেলে প্রতিদিন গরুটিকে যত্নআত্তি করি।
তিনি আরও বলেন, এবারের কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য তাকে প্রস্তুত করেছি। এর দাম ধরেছি ১৬ লাখ টাকা। আলোচনাসাপেক্ষে এদিক সেদিক হতে পারে।
এদিকে কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, এ বছর কেন্দুয়া উপজেলায় কোরবানির চাহিদা অনুযায়ী গরু ছাগল প্রস্তুত করা রয়েছে। যার মধ্যে ষাঁড় গরু ৪২১৩টি, বলদ ২৩৮২টি, গাভি ২৮০৯টি, মহিষ ১৫৩টি, ছাগল ১১৯৪টি, ভেড়া ১২৩৯টি। মোট ১১ হাজার ৯৮০টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। উপজেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড় বুলবুলের সাদা পাহাড়। যার ওজন প্রায় ৩৮ মন। এ ছাড়া গ্রামের কৃষকের গরু আছে এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বেপারিরাও গরু, ছাগল, ভেড়া হাটে নিয়ে আসবেন বিক্রির জন্য।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভাস্কর চন্দ্র তালুকদার আরও জানান, এবারের কোরবানিতে গরুর সংকট নেই। ১২ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার গরুর হাটে হাটে পশু স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আমাদের মেডিকেল টিম রয়েছে। খামারসহ সব গরুর হাটে নিয়মিত তদারকি করছে আমাদের উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর।
মন্তব্য করুন