দিনাজপুরের বীরগঞ্জে তীব্র তাপদাহ ও বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। অধিকাংশ কৃষক তাদের উৎপাদিত ধান ঘরে তুলে মাড়াইয়ের কাজ শেষ করেছেন। বাকি কিছু ধান বিস্তীর্ণ মাঠে যা আছে তা কয়েকদিনের মধ্যেই মাড়াইয়ের কাজ শেষ হবে।
বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে চলছে ধান সেদ্ধ ও শুকানোর উৎসব। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে নারী-পুরুষসহ সবাই ধান শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সরেজমিনে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ধান মাড়াইয়ের পর গ্রামীণ নারী-পুরুষ ছোট ছোট বস্তা করে সেই ধান পুকুর বা বাড়ির নির্দিষ্ট স্থানে গর্ত করে ধান ভেজাতে দিচ্ছেন। সেই ভেজা ধান ৭/৮ ঘণ্টা পানিতে ভেজার পর বড় পাতিলে সেদ্ধ করা হয়। আর এ ধান সিদ্ধ হলে ভ্যানে বা সাইকেলে করে শুকানোর জন্য মাঠে নিয়ে যান তারা।
সিদ্ধ ধান মাঠে দেওয়ার আগে বড় আকারের নেট জাল বিছিয়ে নেওয়া হয়। তারপর সেই কাগজে সেদ্ধ ধান বিছিয়ে দিয়ে শুকানো হয়। ধান শুকাতে সময় লাগে ২/১ দিন। ধান শুকানোর পর সেই ধান ছাঁটাই করে কাঙ্ক্ষিত চাল পাওয়া যায়। যা পরবর্তী আমন ধান আসা পর্যন্ত সেই চালের ভাত খেতে খেয়ে থাকেন গ্রামীণ জনপদের মানুষ।
জানতে চাইলে মোহনপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পলাশবাড়ী গ্রামের রহিমা বেগম বলেন, আমরা ১ বিঘা ধান মাড়াই করার পর সেই ধান সিদ্ধ দিয়ে মাঠে নিয়ে এসেছি। বাসায় ধান শুকানোর তেমন জাগায় নেই, দিনের অল্প সময়ে ছায়া চলে আসে, আকাশের অবস্থা ভালো না। সিদ্ধ ধান ফাঁকা মাঠে নিয়ে এসেছি। এখানে ধান শুকাতে কমবেশি সারা দিনের রোদ পাওয়া যাবে। কোনো প্রকার ঝামেলা নেই।
কৃষক ফিরোজ আলম বলেন, আগে গ্রামের প্রত্যেক বাড়ির উঠানে ধান মাড়াই ও শুকানোর কাজ করত কিন্তু আজ গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে ফাঁকা জায়গার অভাব। সেই কারণে স্কুল মাঠ কিংবা ফসলি মাঠের ফাঁকা জায়গায় ধান শুকানো হচ্ছে।
মন্তব্য করুন