রাজশাহীতে শব্দদূষণের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি ও নিয়ন্ত্রণে করণীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৮ জুন) সকালে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আয়োজনে এবং রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, গ্রীন সিটি এবং ক্লিন সিটি হিসেবে রাজশাহীর যে সুনাম দেশব্যাপী আছে একই সঙ্গে রাজশাহীকে কীভাবে শব্দদূষণমুক্ত সিটিতে পরিণত করা যায় সে লক্ষ্যে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। শব্দদূষণের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে হবে।
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ‘শব্দদূষণের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি এবং নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ এ সংক্রান্ত একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের ট্রেনিং অ্যান্ড ক্যাম্পেইন কনসালটেন্ট গাজী মহিবুর রহমান।
উপস্থাপিত প্রেজেন্টেশনে রাজশাহী বিভাগের এবং রাজশাহী শহরের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন শব্দের মানমাত্রা কোন এলাকায় কত তা উল্লেখ করা হয়। যার আলোকে রাজশাহী বিভাগ তথা রাজশাহী শহরে শব্দদূষণের মাত্রা কীভাবে কমিয়ে আনা যায় তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর।
আলোচনায় অংশ নেন ট্রাফিক বিভাগের এডিসি হেলেনা আক্তার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক মো. আনিসুজ্জামান সিকদার, নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আসাদুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রতিনিধি ডিসি (সিটিটিসি) সরকার ওমর ফারুক, রাজশাহী ডিআইজি অফিসের পুলিশ সুপার (অপারেশন) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক পারভেজ রায়হান প্রমুখ।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল। পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মাহমুদা খানম স্বাগত বক্তব্য রাখেন।