টাইটানিক জাহাজ নয়। ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর গ্রামের ইকবাল মিয়ার পালিত এক ষাঁড়। এ বছরে উপজেলার সর্ববৃহৎ কোরবানির পশু বলেই ধরা হচ্ছে এই ষাঁড়টিকে। তাই তো আদর করে ‘রাজা’ নাম দিয়েছেন খামারি।
৮ ফুট ৩ ইঞ্চি লম্বা, ৫ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতা আর ওজন ৮৪০ কেজি। নাম তার টাইটানিক। বেশ জামাই আদরেই রাখা হয়েছে ৩ বছর বয়সী টাইটানিককে।
জানা গেছে, বৃহদাকার এই ষাঁড়ের জন্য প্রতিদিনের বাজেট প্রায় ৮শ টাকা। খাবারের মেন্যুতে থাকে খৈল, খড়, ভুসি, ধানের কুড়া, ডাল আর নিজের জমিতে লাগানো ঘাস। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সেই টাইটানিকের মালিক তার দাম হাঁকাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। টাইটানিক আকার, আকৃতি ও ওজনের দিক থেকে উপজেলার সবচাইতে বড় পশু বলে দাবি খামারির। গরুটিকে দেখতে প্রতিদিন ওই খামারির বাড়িতে ভিড় করেন উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ।
টাইটানিকের পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা রায়হান শেখ জানান, মূলত গরুটি আমার বাবার। বাবা বেশিরভাগ সময়ে গরুটির দেখাশোনা করেন। দেড় বছর আগে গরুটি কিনে আনা হয়। কেনার পরেই এর নাম রাখা হয় টাইটানিক। এই দেড় বছরে কোনোরকম ফিড ছাড়া সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ খাবার খেয়ে বড় হয়েছে গরুটি। কোনো প্রকার মোটাতাজার ওষুধ বা ইনজেকশন ছাড়াই গরুটির ওজন ৮৪০ কেজি হয়েছে।
গত কোরবানির ঈদের সময় গরুটি হাটে তুলেছিলেন কিন্তু আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় বিক্রি করেননি। এবার তিনি টাইটানিকের দাম হাঁকাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। তিনি বলেন, ঢাকায় হলে এ গরু ১২-১৩ লাখ টাকা দাম হতো। কিন্তু মফঃস্বলে এত দামে কেউ কিনবে না তাই ১০ লাখ টাকা দাম চাই।
এ বিষয়ে চরভদ্রাসন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ইউএলও) মো. রেফায়েত উল হাসান বলেন, আমার জানা মতে, টাইটানিক উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ষাঁড়। প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলায় ষাঁড়টি পুরস্কৃত হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি টাইটানিকের দেখভাল করছি। টাইটানিক সাধারণ খাবার খেয়েই বেড়ে উঠছে। মোটাতাজাকরণের জন্য কোনো খাবার খাওয়ানো হয়নি।
মন্তব্য করুন