ঝালকাঠি সদরের ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ছত্রাকান্দায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস পুকুরে পড়ে শিশুসহ ১৭ জন নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুন শিবলীকে আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যয়ভার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বহন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
দুপুরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে হতাহতদের দেখতে গিয়ে জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তাদের ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের অনুমতিসাপেক্ষে মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে। বাসচালক নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সবকিছুই তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন : নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস পুকুরে, নিহত ১৭
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভান্ডারিয়া থেকে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে বরিশালের দিকে যাচ্ছিল একটি যাত্রীবাহী বাস। পথে সদর উপজেলার ছত্রাকান্দা এলাকায় পৌঁছালে ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনের মোড় ঘুরতেই চাকা ফেটে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। এরপর ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এ সময় ২৫ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হলেও এর মধ্যে ১৭ জন যাত্রী নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ৮ জন নারী ও ৩ জন শিশু রয়েছেন।
সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার জানান, যাত্রীবাহী বাসটি উল্টে পুকুরে পড়ে গেলে এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে মৃত উদ্ধার করা হয়েছে। আহত আরও কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যেও মুমূর্ষু অবস্থায় কয়েকজনকে দেখা গেছে। বাসের ভেতরে কতজন যাত্রী আটকে আছেন, তা ধারণা করা যাচ্ছে না। গাড়িটি উদ্ধারের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরিশাল রেঞ্জের উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম আক্তারুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার আফ্রুজুল হক টুটুল, জেলা সিভিল সার্জন অফিসার ডা. জহিরুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন