চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে টাঙ্গাইলে প্রার্থীদের খুশি করতে সিলযুক্ত ব্যালট পেপারের ছবি ফেসবুকে দেওয়ার হিড়িক পড়েছে ছাত্রলীগ ও ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতাকর্মীর মধ্যে। স্ব-স্ব কেন্দ্রে দায়িত্ব নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রার্থীদের ট্যাগ করে সিল মারা ব্যালট পেপারের ছবি ফেসবুকে দিচ্ছেন।
বুধবার (৫ জুন) চতুর্থ ধাপে টাঙ্গাইলের সখীপুর, মির্জাপুর, গোপালপুর ও বাসাইল উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে গোপালপুরে পুরুষ ভাইস ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ায় শুধু চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হচ্ছে। চতুর্থ ধাপের এই নির্বাচনেও ভোটার উপস্থিতি খুবই কম দেখা গেছে।
জানা গেছে, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী কোনো ভোটার ভোট প্রদানের আগে বা বুথে প্রবেশের আগে মোবাইল ফোন কেন্দ্রে দায়িত্বরতদের কাছে জমা দিয়ে ভোট কক্ষে প্রবেশ করবেন। কেন্দ্রে যাতে ভোটাররা মোবাইল ফোন নিয়ে যেতে না পারেন সেটি তল্লাশি করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতাকর্মীরা তার সমর্থিত প্রার্থীকে খুশি করতে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করেন।
গোপালপুর শহর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মিলন হাসান দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী কেএম গিয়াস উদ্দিনকে ভোট দিয়ে, ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ লিখে প্রার্থীর আইডিতে ট্যাগ করে সেই সিলযুক্ত ব্যালটের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
একই উপজেলার হেমনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ‘বিজয় এর মার্কা দোয়াত কলম’ লিখে সিল মারা ব্যালট পেপার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
সখীপুরে সজিব শাহরিয়ার নামে এক নেতা আনারস প্রতীকের প্রার্থী মুহাম্মদ আবু সাঈদ মিয়াকে ভোট দেওয়ার পর ব্যালটের ছবি দিয়ে ‘আমার মার্কা’ লিখে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গোপালপুরের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকে কেউ সিল মারা ব্যালট পেপারের ছবি পোস্ট করতে পারেন না। এটা নির্বাচনী আইনবিরোধী। এ রকম হয়ে থাকলে সেটা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মতিয়ুর রহমানকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন