কক্সবাজারের পেকুয়ায় দেশি মাছের পোনার আবাসস্থলে বেহুন্দি জাল দিয়ে নির্বিচারে মাছের পোনা নিধন চলছে। এতে দেশি প্রজাতির মাছের বংশবিস্তার হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন জেলে ও সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গোপসাগরের মোহনা পেকুয়ার মগনামা কুতুবদিয়া চ্যানেলের মগনামা লঞ্চ ঘাট, উজানটিয়া টেকপাড়া বেড়িবাঁধ সংলগ্ন, পেরাসিঙ্গা পাড়া, করিমদাদ মিয়া ঘাট, রাজাখালী সুন্দরীপাড়া, আরবশাহ বাজারের পশ্চিমসহ বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েক লাখ বেহুন্দি জাল বসিয়ে অবৈধভাবে নানা প্রজাতির মাছের রেণুপোনা আহরণ করছে। পরে বাগদা ও গলদা চিংড়ির পোনা বাছাই করে নিয়ে বাকি মাছের পোনা মাটিতে ফেলে দিয়ে মেরে ফেলছে এক অসাধু চক্র।
এ ছাড়া ফিশিং ট্রলার ও ছোট বোট এবং নৌকা দিয়ে প্রতিনিয়ত মাছ আহরণ করা হচ্ছে। মাছের প্রজননের সময় মৎস্য অধিদপ্তরের ৬৫ দিন বিধিনিষেধ থাকলেও এ নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে না পেকুয়ায়। কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জাল দিয়ে মাছ আহরণ করছে মৎস্য আহরণকারীরা। এসব রেণুপোনা আহরণের পর বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা হয়।
নিষেধাজ্ঞা জারির পর মৎস্য অফিস সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু এখানেই তাদের কাজ শেষ। তারা কোনো অভিযান চালাচ্ছে না।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল আমিন বলেন, এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, পেকুয়ার অফিসারকে নির্দেশনা দিয়েছি অভিযান করতে।
মন্তব্য করুন