চাঁদপুরের হাইমচরে নদী উপকূল এলাকায় শতাধিক পানচাষির পানের বরজ মাটিতে হেলে পড়েছে। এতে কোটি টাকার পান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চাষিদের ঋণের বোঝায় তাদের চোখেমুখে হতাশা দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) হাইমচরের মেঘনা নদীর পূর্ব অঞ্চল এলাকার ক্ষতিগ্রস্তরা এ হতাশার কথা জানিয়েছেন।
জানা যায়, হাইমচরের মহজমপুর, কমলাপুর, চর কৃষ্ণপুর, চরভাঙ্গা, চার পোড়ামুখী, গন্ডামারাসহ আরও বেশকিছু স্থানে পানের বরজ মাটিতে হেলে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে এমনটি হয়েছে। আর তাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আবারও ঋণের জন্য বিভিন্ন এনজিওর দারস্থ হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। পানচাষি বৃন্দাবন মজুমদার, বাবুল শেখ, মানিক পাটোয়ারীসহ অন্যরা জানান, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে হেলে পড়েছে পানের বরজ। লতায় থাকা প্রায় লক্ষাধিক টাকার পান নষ্ট হয়েছে। এমনকি লতাটুকুও নষ্ট হয়ে গেছে। এখন ক্ষতি পোষাতে বহু টাকা দরকার। পূর্বের ঋণের চাপেই অতিষ্ঠ। এখন আবার যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছি। দিশেহারা হওয়া ছাড়া আমাদের উপায় নেই।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাকিল খন্দকার বলেন, সরেজমিনে ঘুরে ঘুরে আমরা পানচাষিদের ক্ষয়ক্ষতির অবস্থা নির্ধারণ করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা তৈরি করছি। পানচাষিদের পানের বরজ দাঁড় করাতে সরকারি সহায়তা প্রদানের জন্য কৃষি অফিস কাজ করে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
মন্তব্য করুন