শরীয়তপুরের নড়িয়াতে সাবেক স্ত্রীর বিয়ের খবর পেয়ে রাব্বি মাদবর নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে।
সোমবার (৩ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পাঁচগাও বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রাব্বি মাদবর কেদারপুর ইউনিয়নের পাঁচগাও বটতলা গ্রামের মামুন মাদবরের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, প্রায় ৩ বছর আগে একই এলাকার মিম আক্তারের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করে রাব্বি। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই তাদের মধ্যে কলহ দেখা দেয়। ফলে ৬ মাস আগে মিম আক্তার তার বাবার বাড়ি চলে যায়। তারপর রাব্বিকে তালাকনামা পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু তালাকের পরও তাদের মধ্যে যোগাযোগ হতো।
তারা আরও জানান, সোমবার দুপুরে মিম তার নতুন বিয়ের খবর রাব্বিকে জানায়। ফলে দুপুরের পর থেকেই সে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে বাড়ির পাশে বাগানের মধ্যে পরিত্যক্ত ঘরে দরজা আটকে মিমের ওড়না দিয়েই গলায় ফাঁস নেয় রাব্বি। সকালে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে রাব্বির মরদেহ ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রাব্বির মা মমতাজ বেগম কালবেলা বলেন, আমার ছেলে ভালোবেসে মিমকে বিয়ে করেছিল। কিন্তু ওদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লাগত। ছয় মাস আগে মিম আমার ছেলেকে ছেড়ে চলে যায়। আমার ছেলে মিমকে খুব ভালোবাসত। মিম কল দিয়ে রাব্বিকে তার বিয়ের খবর বলে। আমার ছেলে কষ্ট সহ্য করতে না পেরে মিমের ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
রাব্বির বাবা মামুন মাদবর বলেন, সকালে উঠে আমি রাব্বিকে ওর রুমে না পেয়ে খুঁজতে থাকি। পরে বাগানের ঘরে গিয়ে দেখি ওর মরদেহ ঝুলছে। আমার ছেলে মিমের কারণে আত্মহত্যা করেছে। আমি ওর বিচার চাই।
রাব্বি মাদবরের সাবেক স্ত্রী মিম আক্তার বলেন, বিয়ের পর রাব্বি আমাকে প্রচণ্ড শারীরিক ও অমানুষিক নির্যাতন করত। আমার শরীরের মধ্যে নির্যাতনের অসংখ্য দাগ রয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে আমি তাকে তালাক দিয়ে দেই। তালাকের পর তার সঙ্গে আমার আর যোগাযোগ হয়নি। আমি কিছুই জানি না।
নড়িয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাগানের ভেতরে একটি ঘরের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন