কুড়িগ্রামে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জেলার ৪১টি সরকারি দপ্তরের সেবাপ্রাপ্তিতে হয়রানির শিকার, ঘুষ দিতে বাধ্য, বঞ্চনার শিকার ইত্যাদি নানা বিষয়ে ৬০ জন সেবা গ্রহীতারা তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলে এ গণশুনানি।
রোববার (২ জুন) দুপুরে জেলা শহরের শেখ রাসেল পৌর অডিটরিয়ামে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুড়িগ্রামের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদকের সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন হাসিমুখে সেবা প্রদানের জন্য সরকারি কর্মচারীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, শুদ্ধ চর্চার মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব। পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনোপ্রকার অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নেওয়া যাবে না। হাসিমুখে সেবা প্রদানের জন্য সরকারি কর্মচারীদের উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। কোনো অভিযোগ নিয়ে আসার জন্য, দুর্নীতি দমন কমিশনের দ্বার সবার জন্য উন্মুক্ত।
কুড়িগ্রাম জেলা দুদক কার্যালয় ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভুক্তভোগী সেবা গ্রহীতারা উপস্থিত ছিলেন।
গণশুনানিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফের সঞ্চালনায় জেলার সরকারি দপ্তরের সেবা প্রাপ্তিতে নানান বিষয়ে সেবা গ্রহীতারা তাদের অভিযোগের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। পরে তাৎক্ষণিকভাবে সেগুলোর সমাধান দেওয়া হয়। এসব অভিযোগের পর্যালোচনা করে দেখা যায়, জেলার হাসপাতাল, বিআরটিএ, গণপূর্ত, খাদ্য অধিদপ্তর, পাসপোর্ট অফিস, জেল হাজত, পোস্ট অফিস ইত্যাদি সরকারি দপ্তরগুলোতে মানুষ বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন, রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক তালেবুর রহমান, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আফতাব উদ্দিন, দুদক কুড়িগ্রামের উপপরিচালক মো. সিরাজুল হক প্রমুখ।
মন্তব্য করুন