সুনামগঞ্জের ৬টি স্টেশনের একটি স্টেশন দিয়ে সুরমার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছাতক পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ০.৮১ সেমি পানি বেড়ে ৯.১৪ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপদসীমার ৪৬ সেমি উপরে।
এদিকে নদ নদীর পানি গেল ৪৮ ঘণ্টায় বাড়লেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পাউবো’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জেলার সবগুলো হাওর পানি শূণ্য থাকায় উজানের ঢলের পানি হাওরে প্রবেশ করলে নদীর পানি কমে যাবে।
সুরমা নদীর পানি ০.২৮ সেমি বেড়ে বিপদসীমার ৫৪ সেমি নিচ দিয়ে অর্থাৎ ৭.২৫ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দিরাই উপজেলায় সুরমা নদীর পানি ০.০৬ সেমি কমে ৫.১২ সেমি উপর দিয়ে অর্থাৎ বিপদসীমার ১৪০ সে.নি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা পয়েন্টে যাদুকাটা নদীর পানি ০.০৬ সেমি কমে ৬.২৪ সেমি উপর দিয়ে অর্থাৎ বিপদসীমার ১৮১ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও জগন্নাথপুরে নলজুল নদীর পানি ০.০৩ সেমি বেড়ে ৫.৮৮ সেমি ও তাহিরপুর উপজেলার পাটনাই নদীর পানি ০.০৮ সেমি বেড়ে ৫.০৮ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় লাউড়েরগড় পয়েন্টে ২৪, ছাতকে ২০, সুনামগঞ্জে ১৫ এবং দিরাইয়ে ১৭ সেমি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
পাউবোর তথ্যমতে, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আর এই বৃষ্টির পানি সুনামগঞ্জের সীমান্ত নদী দিয়ে আসছে ফলে হাওরাঞ্চলে পানি টইটম্বুর হয়ে গেছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পানি বৃদ্ধি থাকবে। এতে করে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, পাহাড়ি ঢলে সিলেটের জকিগঞ্জ ও কানাইঘাটে বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। এই পানি কুশিয়ারা ও সুরমা হয়ে সুনামগঞ্জের দিকেই নামবে। তাতে নদীর পানি আরও কিছু বাড়লেও বন্যার আশঙ্কা নেই। আমাদের হাওরগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। ঢলের পানি এখন হাওরে প্রবেশ করবে। নদীর পানিও বিপদসীমা অতিক্রম করবে না। নদীতে পানি বাড়লেও দ্রুতই পানি কমে যাবে। এছাড়াও চেরাপুঞ্জি এবং সুনামগঞ্জে এখন স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানিয়েছেন, আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। বন্যার তথ্য প্রদানের জন্য প্রতিটি উপজেলায় নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে।
এ দিকে বন্যা সতর্কতায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে স্থানীয়রদের সতর্কতা অবলম্বনে করা হয়েছে মাইকিং। তবে এখনো কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি।
মন্তব্য করুন