দাদখানি চাল, মসুরির ডাল, চিনি-পাতা দৈ, দুটা পাকা বেল, সরিষার তেল, ডিমভরা কৈ- যোগীন্দ্রনাথ সরকারের ‘কাজের ছেলে’ কবিতার মতোই ‘চিনি-পাতা দই’এটি। তবে সাধারণ দইয়ের চেয়ে একটু ভিন্ন স্বাদের। দূরদূরান্ত থেকে কিনতে আসা দইপ্রেমিকরা জানান, দুই ধরনের গৃহপালিত পশুর দুধ দিয়ে এটি তৈরি হয়। ফলে স্বাদও বেড়ে যায়।
দই পাতার কায়দাও ভিন্ন। গোলগাল পাত্রটিও অন্য ধাঁচের। বাঁশ-বেতের তৈরি ছোট ঝুড়িতে বসানো হয় এই দই। স্থানীয়ভাবে যা ধুছনি নামে পরিচিত। নাম ‘বর্নির ধুছনির দই’। প্রতি কেজি দইয়ের দাম ৩০০ টাকা। প্রায় প্রতিদিনই বড় বড় অনুষ্ঠানের জন্য অর্ডার পান এর কারিগর। কখনও কখনও ক্রেতার ঠিকানায় পৌঁছে দিতে হয় তাকে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কারিগরের বাড়ি থেকে দই কিনে নিয়ে যান ভোজনরসিকরা।
ক্রেতারা জানান, এটি একটি ব্যতিক্রমী দই। লোকমুখেই এর চাহিদা বেড়ে গেছে। এর গুণগত মানও খুব ভালো।
মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখার বর্নি ইউনিয়নের নিহারী-ফড়িঙ্গা গ্রামে পাওয়া যায় মজাদার এ দই। এর স্বাদ ভিন্নমাত্রার হওয়ার রহস্য উন্মোচন করেন এর কারিগর গৌরাঙ্গ নিজেই।
তিনি জানান, গরুর দুধের সাথে মেশানো হয় মহিষের দুধ। স্থানীয়ভাবে গরু ও মহিষের মালিকের কাছ থেকে এই দুধ সংগ্রহ করা হয়। এরপর দুই কেজি ও পাঁচ কেজি ওজনের ধুছনিতে বসানো হয় দই।
মৌলভীবাজারের জুড়ী, সিলেট ও গোলাপগঞ্জে এই দইয়ের চাহিদা বেশি। তবে অচিরেই এর সুনাম সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা।
মন্তব্য করুন