রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনের দিন সন্ত্রাসী হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উপজেলার বড়তলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতুমং মারমা (৫১) মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাত পৌনে ১২টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা পরিষদের পুনরায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীরোত্তম তংচঙ্গ্যা।
চেয়ারম্যান বীরোত্তম তংচঙ্গ্যা জানান, তিনি আহত হওয়ার পর থেকেই চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রাতে তার সঙ্গে থাকা ইউপি সদস্য ও স্বজনরা ফোন করে জানিয়েছেন তিনি সেখানেই মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২১ মে) রাত সাড়ে এগারোটায় বড়থলী পাড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন আতুমং। ওই সময় বড়থলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বড়থলী পাড়ার একটি বাড়িতে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আতুমং মারমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে বুধবার ভোর ৬টায় বান্দরবান জেলার রুমা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রুবেল জানিয়েছিলেন, রোগীর গায়ে দুটি গুলি লেগেছে। তার মধ্যে হাতের গুলিটা ঢুকে বের হয়ে গেছে। তবে পায়ের উরুতে লাগা গুলি থেকে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য গুলিবিদ্ধ চেয়ারম্যানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়।
তবে এ ঘটনার জন্য আহত আতুমং মারমা তার ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ওয়াইবা ত্রিপুরাকে (৫০) দোষারোপ করেছেন। তিনি বলেন, ওয়াইবা ত্রিপুরা তাকে গুলি করেছে। তবে কোন কারণে কেন গুলি করেছিলেন, তা জানাতে পারেননি তিনি।
গুলিবর্ষণের ঘটনার পর বিলাইছড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের এএসপি মো. আবুল কাশেম চৌধুরী জানিয়েছিলেন, গুলিবিদ্ধ আতুমং চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। চিকিৎসা করে ফিরে আসার পর মামলা হবে। তদন্ত করার পর এ ঘটনা কেন ঘটিয়েছে জানা যাবে।
মন্তব্য করুন