পল্লী বিদ্যুতের গাফিলতির কারণে অতিরিক্ত বিল পাচ্ছেন গ্রাহকরা। সেই সঙ্গে মিটার না দেখে অতিরিক্ত বিল করার অভিযোগ অনেক গ্রাহকের। আবার গ্রাহকদের কাছ থেকে বাড়তি বিল আদায় করা হচ্ছে। লাইন কেটে দেওয়ার ভয়ে অনেক গ্রাহক প্রতিবাদ না করে বিল পরিশোধ করছেন।
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার জোনাল অফিসের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন গ্রাহকদের অনেকেই। মনগড়া বাড়তি বিলে বিপাকে পড়েছে অনেক ভুক্তভোগী। মিটারের সঙ্গে বিলের কোনো মিল খুঁজে পাচ্ছেন না তারা। বাড়তি বিলের অভিযোগ নিয়ে প্রতিদিন কলমাকান্দা জোনাল অফিসে গ্রাহকদের আসা-যাওয়া তো আছেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কলমাকান্দা উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের আওতায় প্রায় ৭২ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে দায়িত্বে থাকা মিটার রিডার আছেন মাত্র ২৮ জন। যা চাহিদার চেয়ে অনেকটাই কম।
অনেক গ্রাহকের অভিযোগ, মিটার না দেখে বাড়তি বিল করেন কর্তৃপক্ষ। এমনকি নষ্ট মিটার থেকেও বাড়তি বিল করে। অফিসে অভিযোগ নিয়ে গেলে সহজে মেলে না কোনো প্রতিকার।
বাড়তি বিল হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপজেলা মোড়ের কাপড় ব্যবসায়ী সুভাস চন্দ্র সাহা। তিনি বলেন, তার নামে আগে স্বাভাবিকভাবে বিল আসতো। গত এপ্রিল মাসে বিল এসেছিল ২ হাজার ৩৮৮ টাকা। আর মে মাসে বিল এসেছে ১২ হাজার টাকা। পল্লী বিদ্যুৎ অতিরিক্ত বিল ধরিয়ে দিয়েছে আমাকে।
নাজিরপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. সোহাগ মিয়া বলেন, গত তিন মাস ধরে তার মিটার নষ্ট। তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানিয়েছিলেন, কিন্তু কাজ হয়নি। এ পর্যন্ত নষ্ট মিটার দেখে ভূতুড়ে বিল পাঠিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। লাইন কেটে দেওয়ার ভয়ে তিনি মে মাসে এসে বিল পরিশোধ করছেন ৫ হাজার ৬৬৯ টাকা।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) কলমাকান্দা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. আবুল কালাম বলেন, প্রচণ্ড গরমে গ্রাহকরা বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। এ ছাড়া মিটারে সমস্যা থাকলে সেটা দেখব। এ বিষয়ে মিটার রিডারদের গাফিলতির বিষয়ে জানতে চাইলে তা স্বীকার করে তিনি বলেন, কাজের অনেক চাপ৷ সবাই তো মানুষ, গাফলতি তো আছেই।
মন্তব্য করুন