নোয়াখালীর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে ভোটের সরঞ্জামাদি নিয়ে আসতে বাধা দেওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ছোড়া গুলিতে পাঁচজন আহত হয়েছেন।
পুলিশ বলছে, নির্বাচনী সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেওয়ার সময় সরকারি মালামাল রক্ষার্থে পুলিশ চার রাউন্ড গুলি করেন। এতে বাধা প্রদানকারী ৫ জন আহত হন।
বুধবার (২৯ মে) রাত ৮ টার দিকে কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর শুল্যাকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন নোয়াখালীর সদর কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর শুল্যাকিয়া গ্রামের কবির (৩৩), মো. মান্না (২৩), মো. জামাল (৫০), মো. মান্নান (৩৩) ও মো. রাকিব (২১)।
জানা যায়, রাত ৮টার দিকে কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর শুল্যাকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ভোটগণনা শেষে ভোটের সরঞ্জামাদি প্রিসাইডিং অফিসারের নেতৃত্বে নিয়ে আসার পথে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নউর আলম সিদ্দিকী রাজুর ৪০-৫০ জন অনুসারী বাধা প্রদান করে। এ সময় সরকারি মালামাল রক্ষার্থে পুলিশ চার রাউন্ড গুলি করেন। এতে বাধা প্রদানকারী ৫ জন আহত হয়। আহতদের নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। আহতরা সকলে বর্তমানে হাসপাতালের ১নং ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, গুলিতে আহত ৫ জন মানুষ আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। আহতরা সকলে বর্তমানে হাসপাতালের ১নং ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। তাদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নূর আলম ছিদ্দীকী বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সব কেন্দ্রে ভোটগণনা করে প্রার্থীর এজেন্টের স্বাক্ষর নিয়ে ভোট ঘোষণা করে। শুল্যাকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট ঘোষণা না দিয়ে নিতে চাইলে আমার কর্মীরা বাধা দেয় পরে পুলিশ ও আনারস মার্কার লোকজন গুলি করে। এতে আমার পাঁচজন কর্মী আহত হয়। এই বুঝি নিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচন?
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা জেনেছি ভোট গণনা শেষে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিয়ে ফিরে আসার সময় ৪০-৫০ জন ব্যক্তি নির্বাচনীসামগ্রী ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশে প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ ভোটগ্রহণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রিসাইডিং অফিসারের নির্দেশে পুলিশ সদস্যরা গুলি ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে হামলাকারী ৫ জন আহত হন। বর্তমানে এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।