থোকায় থোকায় ঝুলছে বাহারি আঙুর। একটি, দুটি বা ৫টি নয়, আঙুর আছে ৫৫ জাতের। প্রতিটিই আবার ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের। শুধু আঙুর নয়, আছে অন্যান্য ফলজ গাছ। এমন শতাধিক গাছের সবগুলোতেই ফল ধরে আছে। অবাক করা ব্যাপার হলো- এত সব আয়োজন মাত্র ১ হাজার ৫০০ বর্গফুটের একটি ছাদের মধ্যে।
অসাধারণ এই ফল বাগানের দেখা মিলল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা ব্যবসায়ী এমাদ উদ্দিন চৌধুরী বিটুর বাসার ছাদে। সেখানে থাকা আঙুরের বিভিন্ন জাতের বীজ তিনি সংগ্রহ করেছেন আমেরিকা, ইউক্রেন, জাপান, চীন ও ভারত থেকে। এতে অনেক কষ্ট আর প্রচুর টাকা খরচ হলেও এই ছাদবাগানের ফল বিক্রি করেন না এমাদ উদ্দিন, বিলিয়ে দেন আত্মীয়স্বজন আর প্রতিবেশীদের মধ্যে।
শখের ফলচাষি এমাদ উদ্দিন চৌধুরীর ছাদবাগানে নানা জাতের আঙুর ছাড়াও রয়েছে আনার, আম, ড্রাগন, ত্বীনসহ বিভিন্ন ফলের গাছ। শুধু অর্থ ব্যয় নয়, গাছগুলোকে ভালো রাখতে প্রচুর সময় ব্যয় করেন তিনি। যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন, দিনে একবার হলেও ছাদবাগানে সময় তিনি দেবেনই।
এমাদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ছাদবাগান করার কারণে তীব্র গরমেও তার ঘর থাকে ঠান্ডা। পাশাপাশি পরিবারের পুষ্টি চাহিদাও ভালোভাবে জোগান দেওয়া যায়।
তিনি বলেন, বাজারের ফলে থাকে বিষাক্ত ফরমালিন। সেটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর তো বটেই, ফলের স্বাদও থাকে না খুব একটা। তাই সম্ভব হলে ছাদবাগান করার আহ্বান জানান।
সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ বলেন, দিন দিন কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাওয়ায় সবাইকে ছাদবাগান করার ব্যাপারে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ী এমাদ উদ্দিন চৌধুরী হতে পারেন আদর্শ উদাহরণ।
ছাদবাগানের আছে নানা উপকারিতা। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ছাদবাগান করার ব্যাপারে বিভিন্ন সময় উৎসাহ দেওয়া হয়ে থাকে। কৃষিজমি কমে যাওয়ার বিপরীতে পুষ্টিকর ফলমূল উৎপাদনে এটি হতে পারে কার্যকর উপায়।
মন্তব্য করুন