এভারেস্ট যেন চট্টগ্রামে। তার গলায় ফুলের মালার স্তূপ। বলছি সেই এভারেস্টে লাল-সবুজের পতাকা ওড়ানো বাবরকে নিয়ে। মঙ্গলবার (২৮ মে) রাত সাড় ৯টার দিকে হঠাৎ এই পর্বতজয়ীর আগমন ঘটে চট্টগ্রামে।
শাহ আমানত বিমানবন্দরের ১২ নম্বর গেট দিয়ে বাইরে এসে বাঁধভাঙা তারুণ্যের জোয়ারে পর্বতের মতোই দাঁড়িয়ে ছিলেন বাবর। এর আগে, সন্ধ্যায় নেপালের ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে নিজের শহরে।
দেখা গেছে- ভক্তরা ফুলের তোড়া আর হলুদ গাঁদার মালায় ঢেকে দেন বাবরকে। এখানেই শেষ নয়, রীতিমতো কাঁধে তুলে শূন্যে ছুড়ে উল্লাস করেন বারবার। স্লোগান ছিল ‘বাবর, বাবর’।
এ সময় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে সাংবাদিকদের বাবর বলেন, আত্মবিশ্বাস ছিল এভারেস্ট ও লোৎসের চূড়ায় পৌঁছানোর পর আবার দেশে ফিরে আসব। সেটিই হলো। দীর্ঘ প্রশিক্ষণ, প্রচেষ্টা ও আকাঙ্ক্ষা -সবই পূরণ হলো। দেশের মানুষ যেভাবে উৎসাহ জুগিয়েছে, এতে আমি আনন্দিত।
অভিযানের সমন্বায়ক ফারহান জামান বলেন, বাবর আলীর মা-বাবা এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের আবদার রক্ষার্থে আমরা ৩ জুনের পরিবর্তে আজই তাকে দেশে ফিরিয়ে এনেছি।
বাবর পেশায় চিকিৎসক, নেশায় পর্বতারোহী। গত ২১ মে নেপাল সময় সকাল ৫টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৬টা ৫ মিনিট) লোৎসে পর্বতের শীর্ষ (৮ হাজার ৫১৬ মিটার) ওঠেন ৩৩ বছর বয়সী বাবর। নেপালের স্নোয়ি হরাইজন নামের ট্রেকিং ও পর্বতাভিযান পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে নতুন একটি অধ্যায় রচনা করলেন বাবর।
মন্তব্য করুন