ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে ৪১ ঘণ্টা। এতে করে বন্ধ হয়ে যায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও। সোমবার সকাল ৬টায় বিদ্যুৎ বন্ধ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আখাউড়া জোনাল অফিস।
মঙ্গলবার (২৮ মে) রাত ১১টায় আখাউড়া পৌর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। দীর্ঘ ৪১ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার কারণে চার্জের অভাবে মোবাইল ফোনগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে। বাসা বাড়িতে পানি নেই। মোটরে পানি তোলার কারণে বাড়ির টিউবওয়েলগুলো অকেজো। আবার কোনো কোনো বাড়িতে টিউবওয়েল নেই, পানির জন্য শুধু বিদ্যুৎচালিত মোটরের ওপর নির্ভর করেন তারা। এতে করে বিপাকে পড়েছেন মানুষজন। এতে করে সড়কের ধারে টিউবওয়েলে নারী-পুরুষ পানি সংগ্রহের জন্য ভিড় করেন।
এ রিপোর্ট লেখার সময় রাত ১২টা পনেরো মিনিটে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
আখাউড়া পৌর শহরের কলেজ পাড়ার বাসিন্দা স্থলবন্দরে ব্যবসায়ী মো. নাসির উদ্দীন বলেন, ৪১ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছি। মোবাইল ফোনে চার্জ নেই। শৌচাগারে পানি নেই। পানির মোটর চালানো যাচ্ছে না। খুব দুর্ভোগে পড়েছি।
নূরু মিয়া নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, আমার বাড়ির পাশে প্রচুর গাছপালা রয়েছে। কোনো গাছের একটা ডালও ভেঙে পড়তে দেখলাম না। অথচ একটু হাওয়ায় ৪১ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। এভাবে বিদ্যুৎ বিভাগ চলতে পারে না।
খোরশেদ আলম বাদল নামে স্থানীয় এক দোকানি জানান, দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ না থাকায় তার ১৫ হাজার টাকার আইসক্রিম নষ্ট হয়ে গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আখাউড়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জোনাল অফিসার (ডিজিএম) আবুল বাশার জানান, গত সোমবার রিমালের প্রভাব শুরু হওয়ায় নিরাপত্তার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়। সোমবার রাতে রিমালের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ায় বিদ্যুতের ৪টি খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ ছাড়া লাইনের ওপর প্রচুর পরিমাণ গাছের ডালপালা ভেঙে পড়েছে। সে কারণে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার দিনভর খুঁটিগুলো মেরামত ও গাছের ডালপালা অপসারণের পর রাত ১১টায় পৌর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করেছি। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সব জায়গায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি লাইন মেরামত করে সংযোগ ফিরিয়ে আনতে।
মন্তব্য করুন