ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় দমকা হাওয়ার পাশাপাশি থেমে থেমে হালকা, মাঝারি বৃষ্টিপাতে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় গাছপালা ভেঙে পড়েছে। সেই সঙ্গে ঝড়ে প্রায় ৫৬ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রোববার (২৬ মে) মধ্যরাত থেকে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ঝোড়ো হাওয়া ও টিপটিপ বৃষ্টি হচ্ছে। বাতাসের তীব্রতা এতটাই বেশি, সড়ক বা বাইরে খোলা জায়গায় দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়েছে। রাত থেকেই উপজেলাজুড়ে বিদ্যুৎ নেই। তবে কোথাও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পল্লী বিদ্যুৎ নন্দীগ্রাম জোনাল অফিসের ডিজিএম শাহাদৎ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝোড়ো বাতাসের কারণে ৩৩ কেভির লাইনে গাছের ডাল হেলে পড়ায় বিদ্যুৎ চালু করা যাচ্ছে না। কেননা বাতাস বেশি থাকলে বিদ্যুতের লাইন চালু করা যাবে না। বাতাসের গতি কমলে বিদ্যুতের লাইন চালু করা হবে।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, রিমালের প্রভাবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়েছে। কিছু ঘর-বাড়ির টিন উড়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। তবে কোথাও বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। যেসব এলাকায় গাছপালা ভেঙে রাস্তা চলাচল বন্ধ ছিল, সেখান থেকে ভাঙা গাছপালা সরিয়ে পথ স্বাভাবিক করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন