বেড়া (পাবনা) সংবাদদাতা
প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৪, ০৬:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

অসময়ে যমুনায় বিলীন অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি

অসময়ে যমুনায় ভাঙন। ছবি : কালবেলা
অসময়ে যমুনায় ভাঙন। ছবি : কালবেলা

অসময়ে যমুনা নদীভাঙনের কবলে পাবনার বেড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। এতে হুমকির মুখে পড়েছে এখানকার কমিউনিটি ক্লিনিকসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কবরস্থান ও মসজিদ। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত জিওব্যাগ ফেলার দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসী।

উপজেলার হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়নের চর নাগদাহ, হাটাইল আরালিয়া চরসাড়াসি গ্রামসহ নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের লেওলাই পাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। চরসাড়াসি ও চরনাগদাহ গ্রামের ভাঙনকবলিত অসহায় মানুষগুলো অন্যথায় চলে যাচ্ছেন।

এরইমধ্যে ১৫ দিনে লেওলাইপাড়া গ্রামের প্রায় অর্ধশত বিঘা ফসলী জমি ও চড়সাড়াসি গ্রামে ১৫/২০টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বসবাসের শেষ সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অনেকেই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নতুন ভারেঙ্গার লেওলাইপাড়া গ্রামের নদীপাড়ের ফসলী জমি ভেঙে বিলীন হচ্ছে নদীতে। আর সে দৃশ্য দেখে বাসিন্দাদের চোখে চিন্তার ছাপ। স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা শুধু খোঁজখবর নেয় কিন্তু কোনো কাজ শুরু করেনি। স্থানীয়দের দাবি, এবার ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে এখানকার বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনা, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে গ্রামবাসীর দিন কাটছে আতঙ্ক-উৎকণ্ঠায়। তাই ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা। চরনাগদাহ গ্রামের কৃষক ইমদাদুল হক বলেন, নদীভাঙনে আমি পাঁচবার বসতভিটাসহ প্রায় দশ বিঘা জমি হারিয়েছি। সপ্তাহ খানেক আগে আবারও বসতভিটা হারিয়েছি। আমাদের গ্রামের একটি পাড়া নদীতে চলে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ভাঙন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। হাটাইল চরের কৃষক জয়নাল মোল্লা বলেন, প্রতিবছরই বর্ষাকালে চরের মানুষ নদীভাঙনে বাড়িঘড় জমি হারায়। এবার আবার এই অ সময়ে নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। কয়দিন আগে আমার দুই বিঘা বোরো ধান ও এক বিঘা তিল ক্ষেত নদী গিলে খেয়েছে। সব মিলিয়ে আমি প্রায় ১০ বার এ নদীভাঙনের শিকার হয়েছি। আমাকে সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে এই নদী। বর্ষার পর নতুন বাড়ি করেছি, এক সপ্তাহ এই ভাঙন থাকলে এটাও হয়তো নদীতে ডুবে যাবে। নতুন ভারেঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আবু দাউদ জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে আমার ইউনিয়নের লেওলাইপাড়া গ্রামে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। গেল এই কয়দিনেই প্রায় অর্ধশতাধিক ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন রোধে দ্রুত জিওব্যাগ না ফেললে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে তিনি জানান। বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোরশেদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি খোঁজখবর নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বলেন, বেড়ার যমুনা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। আমরাও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। অতি দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হয়তো সরকার বিশেষ মহলকে ভয় করছে : সেলিম উদ্দিন

আন্দোলনে নিহত ছাত্রের মরদেহ ১১২ দিন পর উত্তোলন

তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলের উদ্বেগ

ইতিহাসের শীর্ষতম ধনী হয়ে উঠেছেন ইলন মাস্ক

বাংলাদেশ ব্যাপক শ্রম সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ড. ইউনূস

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন : ডা. রফিক

ক্ষমতায় যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ছাত্ররা : সমন্বয়ক হান্নান

আইপিএলে দল পাননি মোস্তাফিজুর-রিশাদ

ঢাবিতে ‘ক্লিন ক্যাম্পাস’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মসূচি পালিত

এইচআরএসএসের প্রতিবেদন / পাঁচ বছরে নির্যাতনের শিকার সাড়ে ১২ হাজার নারী-শিশু

১০

কারোর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায় সংগঠন নেবে না : যুবদল সম্পাদক

১১

সোহরাওয়ার্দী ও মোল্লা কলেজের কোনো শিক্ষার্থী নিহত হয়নি : পুলিশ

১২

প্রথম আলো অফিসে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব : উপদেষ্টা নাহিদ

১৩

৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

১৪

ভারতীয় জেলেরা বঙ্গোপসাগরে অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরছে : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

১৫

ওয়ালটনে নিয়োগ, পাবেন পিতৃত্বকালীন ছুটি ও জন্মদিনের উপহার

১৬

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ক্ষতিগ্রস্তদের ফ্ল্যাট বরাদ্দ

১৭

নারায়ণগঞ্জে গৃহবধূ হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

১৮

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জরুরি সভা আহ্বান

১৯

১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভূমির আংশিক সেবা বন্ধ 

২০
X