খুলনার পাইকগাছায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ৬টি ইউনিয়নের অন্তত ২০টি স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে অর্ধশতাধিক গ্রাম। যাতে চিংড়ি ঘেরসহ ফসিলী জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন উপজেলার প্রায় এক লাখ মানুষ। ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎহীন রয়েছে।
উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির দেওয়া তথ্য মতে, বাঁধ ভেঙে কপোতাক্ষ নদ ও শিবসা নদীর পানিতে গড়ইখালী, দেলুটি, সোলাদানা, লস্কর, লতা ও রাড়ুলী ইউনিয়নে কয়েকটি এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যাতে এসব এলাকার চিংড়ি ঘের তলিয়ে একাকার হয়ে গেছে। ৮৩১টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ১৩ হাজার ৪১০টি।
বাঁধ ভেঙে দেলুটি ইউনিয়নের তেলিখালী, কালী নগর, দারুনমল্লিক, গেওয়াবুনিয়া, জিরবুনিয়া, পার মধুখালি, চকরিবকরী এলাকার ১৫টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। এ ছাড়া গড়ইখালী ইউনিয়নের খুদখালী ও গড়ইখালী বাজার এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
লতা ইউনিয়নের কাঠামারি, গদারডাঙ্গা, বামনেরাবাদ, হালদার চক, পুতলাখালী, বাইনচাপড়া, পুটিমারি, পানারাবাদ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
কপিলমুনি ইউনিয়নের তালতলা, রাড়ুলী ইউনিয়নের জেলে পল্লী, সোলাদানা ইউনিয়নের সোলাদানা বাজার, বেতবুনিয়া আবাসন এলাকা, নুনিয়াপাড়া, পশ্চিম কাইনমুখী, আমুর কাটা এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মাহেরা নাজনীন এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ইমরুল কায়েস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজনসহ ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে উপস্থিত হয়ে সার্বিক সহোযোগিতা অব্যাহত রেখেছি।
মন্তব্য করুন