ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে উপকূলের মানুষ। রোববার (২৬ মে) দুপুরের পর থেকে ঢালচর, কুকরি-মুকরি, মাঝের চরসহ বিভিন্ন চরের প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।
এ ছাড়াও এসব চরের ১০ হাজার গবাদি পশু রাখা হয়েছে মুজিব কিল্লায়। এদিকে জোয়ারে তলিয়ে গেছে সাগর উপকূলের ঢালচরসহ বেশ কয়েকটি দ্বীপচর।
ভোলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আরিফুজ্জামান জানান, মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। এদিকে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হওয়ায় তলিয়ে গেছে নিচু এলাকা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বাঁধের বাইরের রাজাপুর, ধনিয়া, মাঝের চরসহ বেশকিছু এলাকায় প্লাবিত হলেও এখন পর্যন্ত বাঁধের কোনো ক্ষতি হয়নি, বাঁধ সুরক্ষিত রয়েছে।
এদিকে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপকূলজুড়ে বৈরীভাব বিরাজ করছে। মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে কাজ করছে রেড ক্রিসেন্ট, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) ও চিলেকোঠাসহ বিভিন্ন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা। সময় যত বাড়ছে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ততই আতঙ্ক-উৎকণ্ঠা বাড়ছে।
মন্তব্য করুন