বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল এর প্রভাবে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের চরাঞ্চল অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে জোয়ারে অন্তত ৭ থেকে ৮ ফুট পানিতে তুলাতলী, পান্ডব, কারখানা, পায়রা, বিষখালী, শ্রীমন্ত নদীর চরাঞ্চলের প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার লোক পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা প্রশাসন পৌর কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সবাইকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অনেক পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে আসছে। তাদের শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি দমকা হাওয়া থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি উত্তাল হয়ে উঠেছে উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলো। ইতোমধ্যে নদীর তীরবর্তী এলাকায় থাকা মাছ ধরা ট্রলারগুলো নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য কোস্টগার্ড সতর্ক বার্তা প্রচার করেছে।
এদিকে উপজেলার নদীর তীরবর্তী দুর্গম এলাকায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কায় সতর্কাবস্থায় রয়েছে প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় শনিবার থেকে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেরায় ১৩৫টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের সদস্যরা ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় মাঠে কাজ করছে। ৫টি কন্ট্রোল রুম ও মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, দুর্গম চরাঞ্চল এলাকার লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও আমার সার্বক্ষণিক আশ্রয়কেন্দ্রে আশা মানুষের খোঁজ খবর নিচ্ছি।
মন্তব্য করুন