আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়ি চলাচল শুরুর আগেই চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একটি র্যাম্পের কয়েকটি পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। চট্টগ্রামে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের লালখানবাজার এলাকার সরকারি অফিসার্স কলোনির সামনে র্যাম্পের ৪টি পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে।
ফাটলগুলো জিওব্যাগ দিয়ে ঢেকে মেরামতের প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। যদিও প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, এগুলো কোনো গভীর ফাটল নয়, হেয়ারলাইন ক্র্যাক। যে কোনো নির্মাণাধীন অবকাঠামোতে এমন ফাটল হওয়া স্বাভাবিক। এতে অবকাঠামোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
এ প্রসঙ্গে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক ও সিড্এির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাফুজুর রহমান বলেন, র্যাম্পের পিলারে ফাটলগুলো হেয়ারলাইন ক্র্যাক (ফাটল)। নানা কারণে নির্মাণাধীন অবকাঠামোতে এ রকম ফাটল হতে পারে। এটি বড় কিছু নয়। আমরা ঠিক করে ফেলব। এই ফাটল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রভাব পড়বে না। গত বছরের ১৪ নভেম্বর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৫ দশমিক ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উড়াল সড়কটির নাম প্রয়াত চসিক মেয়র আলহাজ এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরীর নামকরণের প্রস্তাব দেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। চট্টগ্রামে উড়াল সড়কের মধ্যে এটিই দীর্ঘতম। প্রায় সাড়ে চার মাস আগে নগরীর দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি উদ্বোধন করা হলেও নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় এখনো যান চলাচলের জন্য তা খুলে দেওয়া হয়নি। বিমানবন্দরকেন্দ্রিক যানজট নিরসনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের এ উদ্যোগ নেয় সিডিএ।
মন্তব্য করুন