ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলীয় উপজেলা বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভাসহ বহু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রোববার (২৬ মে) বেলা ১২টার দিকে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হওয়ায় পৌরসভাসহ কয়েকটি ইউনিয়নের কমপক্ষে ২৫টি গ্রাম স্থানভেদে ২ থেকে ৩ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
এ ছাড়া খাউলিয়া ইউনিয়নে চালের গুদামে পানি ঢুকে ৩ টন চাল ভিজে নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাস্টার সাইদুর রহমান। এখন পর্যন্ত সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে ২ হাজার লোক ও ৩ শতাধিক গবাদি পশু আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে মোরেলগঞ্জ ফেরিঘাট থেকে বহরবুনিয়া ইউনিয়নের সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী রাস্তাটি ধসে পড়েছে। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে শত শত মানুষের। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ৮৬টি সাইক্লোন শেল্টারে খাবার সরবরাহের কাজ শুরু হয়েছে। কিছু কিছু সাইক্লোন শেল্টারে গবাদি পশু ও বিপদাপন্ন লোকজন আশ্রয় নিয়েছে।
১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি হওয়ার পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বদরুদ্দোজা, থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেছেন। পানগুছি নদীর ফেরিসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার সরবরাহের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল জাবি। তিনি বলেন, এরইমধ্যে নদীর তীরবর্তী সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে প্রায় ২ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন