ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বাড়তে শুরু করেছে জোয়ারের পানির উচ্চতা। এতে সুগন্ধা, বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় দুই থেকে তিন ফুট বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আরও পানি বাড়তে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।
এদিকে রোববার (২৬ মে) ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে ছোট ছোট নৌযান ও মাছ ধরার ট্রলার। নদীতে প্রচুর পরিমাণে বাতাস হচ্ছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। নদীর তীরবর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। সাইক্লোন শেল্টার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ভবন ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন স্থানে নদীতে পানি বেড়ে বেড়িবাঁধ ছুঁই ছুঁই করছে। তলিয়ে গেছে নদীতীরবর্তী জনপদের রাস্তাঘাট ও ফসলের ক্ষেত। আশ্রয়কেন্দ্র খুলে রাখা হলেও মানুষ সেখানে যাচ্ছে না। যদিও ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে মাইকিং করে সতর্ক করছে প্রশাসন।
ঝালকাঠির কলেজ খেয়াঘাটের ট্রলারচালক মো. রুবেল বলেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আজ জোয়ারের পানি অনেক বেশি। এরইমধ্যে অনেক নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে।
সরই এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘূর্ণিঝড় শুনলেই আতঙ্কে থাকি। রিমালের নাম শুনেছি। এখন দেখি নদীর পানির উচ্চতাও বাড়ছে। পানি যেভাবে বাড়তে শুরু করেছে আর যদি দেড় থেকে দুই ফুট বাড়ে তাহলে বাড়ি ঘরে পানি ঢোকা শুরু করবে।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা বলেন, পূর্ণিমার জোয়ার ও ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে পানি কিছুটা বেড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারহা গুল নিঝুম জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় ঝালকাঠিতে ৮৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬২টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া প্রস্তুত রয়েছে ৩৭টি মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিসের ৮টি উদ্ধারকারী দল, নগদ ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং জরুরি মুহূর্তে বিতরণের জন্য মজুদ রয়েছে ৪শ মেট্রিক টন চাল। পাশাপাশি শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ৪২৪ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।
তাৎক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ৬টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন