ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৪, ০৯:১৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

রিমাল মোকাবিলায় প্রস্তুত ভোলা

ভোলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা। ছবি : কালবেলা
ভোলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা। ছবি : কালবেলা

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ভোলায়।

শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যা থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি সঙ্গে হালকা বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে দ্বীপ জেলা ভোলায়। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের বর্তমান অবস্থান ও দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

শনিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুমে জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামানের সভাপতিত্বে এই জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জরুরি সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও দুর্যোগের পরবর্তী সময়ের উদ্ধার কার্যক্রমসহ সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারের সকল বিভাগের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

এ সময় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন। জেলা প্রশাসন, সিপিপি, রেডক্রিসেন্ট, কোস্টগার্ড, ফায়ার ডিফেন্স, আনসার, রোভার স্কাউট, প্রাথমিক শিক্ষা, মৎস্য বিভাগ, এনজিও, প্রাণিসম্পদ ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় জেলা জুড়ে ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬৭৫টি কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ১৩৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, দৌলতখান উপজেলায় ১১২টি আশ্রয়কেন্দ্র, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ১২২টি আশ্রয়কেন্দ্র, তজুমুদ্দিন উপজেলায় ৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র, লালমোহন উপজেলায় ১৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্র, চরফ্যাশন উপজেলায় ১৬৫টি আশ্রয়কেন্দ্র, মনপুরা উপজেলায় ৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র সার্বিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জেলার সাত উপজেলায় ৬৯৩টি ইউনিটে মোট ১৩ হাজার ৮৬০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ৮৭টি ইউনিটের ১ হাজার ৭৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক, দৌলতখান উপজেলায় ৯১টি ইউনিটে ১ হাজার ৮২০ জন স্বেচ্ছাসেবক, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ৭৩টি ইউনিটের ১ হাজার ৪৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক, তজুমদ্দিন উপজেলায় ৮১টি ইউনিটে ১ হাজার ৬২০ জন স্বেচ্ছাসেবক, লালমোহন উপজেলায় ১৩৭টি ইউনিটে ২ হাজার ৭৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক, চরফ্যাশন উপজেলায় ১৬৫টি ইউনিটে ৩ হাজার ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক, মনপুরা উপজেলায় ৫৯টি ইউনিটে ১ হাজার ১৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে সর্বাত্মক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়াও আশ্রকেন্দ্রে আশ্রয় নিতে আসা মানুষের জন্য শুকনো খাবার, জ্বালানি ও জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে বেশ কয়েকটি টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড় রেমাল
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ময়মনসিংহে মায়ের হাতে মেয়ে খুন

কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না : সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

টিসিবির পণ্যসহ আটক বিএনপির সেই সভাপতিকে অব্যাহতি

বাংলা ভাষাকে ‘ধ্রুপদী ভাষা’র মর্যাদা দিল ভারত

রাজশাহী মহানগর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

শেরপুরে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে বিজিবি

চট্টগ্রামে ফের তেলের ট্যাংকারে ভয়াবহ আগুন

আসিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চায় বাংলাদেশ

খুলনায় সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৪ নেতাকে বহিষ্কার

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ৫ পরিচালকের যোগদান

১০

দুর্গাপূজার প্রতিমা ভাঙচুর, বাকেরগঞ্জ থানার ওসি প্রত্যাহার

১১

আন্দোলনে নিহত ৩ যুবকের মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ

১২

মালয়েশিয়ায় আরও জনশক্তি পাঠাতে সহযোগিতা চাইলেন রাষ্ট্রপতি

১৩

সিলেটে পিকআপ চাপায় প্রাণ গেল পুলিশ কর্মকর্তার

১৪

খুলনায় বিএনপির সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫

১৫

চবির হলে আসন বরাদ্দে বৈষম্য, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

১৬

মসজিদে তালা দিয়ে দোকানে দুর্বৃত্তের হামলা

১৭

‘নারী অধিকার কমিশন’ গঠনের দাবিতে সংহতি সমাবেশ

১৮

দলীয়করণমুক্ত ক্রীড়াঙ্গন গড়তে চাই : আমিনুল হক

১৯

লেবানন-ফিলিস্তিন নিয়ে অবশেষে হুঁশ ফিরল সৌদির?

২০
X