নাম তার কালাচাঁন। ডাক দিলেই এদিক-সেদিক তাকায়। এখন সবার মুখে মুখে নাম তার। সকাল কিংবা বিকেলের নাস্তায় পরোটার পাশাপাশি সে খেতে পছন্দ করে আপেল, মাল্টা ও পেয়ারা। নিয়ম করে তাকে করানো হয় গোসলও।
তবে রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে চিৎকার শুরু করে কালাচাঁন। বাধ্য হয়ে লাইট জ্বালিয়ে ফ্যানের বাতাস দিতে হয়।
কালাচাঁনের বয়স এখন তিন বছর। ছোটবেলা থেকে তরতাজা এবং স্বাস্থ্যবান হওয়ায় আলাদা করে সেবা-যত্ন করা হয় তার। মাথায় চাঁদের মতো একটি তীর চিহ্ন থাকায় শখ করে মালিক নাম রাখেন কালাচাঁন। সেই থেকে বাড়ির ছোট বড় সকলেই এ নামে ডাক দিলে ডানে-বামে তাকায় সে। তবে অপরিচিত লোক দেখলেই চিৎকার শুরু করে।
জানা গেছে, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের কটপাড়া গ্রামের আবদুর রশিদ মিয়াজী তিন বছর আগে কালো রংয়ের বাছুরসহ একটি গরু কেনেন। সেই বাছুরটিই এখন বড় হয়ে প্রায় ২৪ মণ ওজনের হয়ে গেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত গরুটিকে দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে উৎসুক জনতা ও ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন রশিদ মিয়াজীর বাড়িতে।
কালাচাঁনের মালিক আবদুর রশিদ মিয়াজী বলেন, পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছায় বাছুরটিকে আলাদাভাবে যত্ন নেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার ঘাস, খৈল, ভুষি, কুড়া ও খড়সহ বিভিন্ন ফল খাইয়ে তাকে বড় করা হয়েছে।
স্বাচ্ছন্দে গরুটি যেকোনো ক্রেতা কিনতে পারেন উল্লেখ করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. নাহিদ হাসান বলেন, কোনো প্রকার ভিটামিন ও মেডিসিন ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে কালাচাঁনকে লালন-পালন করা হয়েছে।
প্রতিবছরই কোরবানির সময় বড় গরুগুলো মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। দামও পাওয়া যায় বেশি। পারিবারিকভাবে লালন-পালন করায় ক্রেতাদের আগ্রহ থাকে এই সব গরুতে। তাইতো কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সারাদেশে আলোচনার মূল বিষয় কালাচাঁনরা।
মন্তব্য করুন