সিলেটের দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত দাস শিবু (৩৬) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় আসামিরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।
এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি ইতোমধ্যে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের জবানবন্দিতে ওঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ মে) আসামি দুজনকে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার কালিগচ্ছের (ধরন্তি) মৃত জামাল ভূঁইয়ার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার সুমি (২০) এবং ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট নগরীর সাগরদিঘীরপাড় এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে তাহমিদ আহমদ (২৬)। তারা সিলেট নগরীর আরামবাগ এলাকার ভাড়াটিয়া।
তাদের দেওয়া জবানবন্দিতে জানা যায়, অমিতের সঙ্গে সুমাইয়ার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয় এবং তারা হোয়াটসঅ্যাপে কয়েকবার কথা বলেছে। কথা বলার একপর্যায়ে তারা একে অপরের সঙ্গে দেখা করতে চায়। তবে অমিত বারবার ফোন করে ডিস্টার্ব করার কারণে সুমাইয়া তার ওপর বিরক্ত ছিল। সেজন্য সুমাইয়া তার পাড়ার প্রভাবশালী বড় ভাই ফয়সালকে বিষয়টা অবগত করে। যার কারণে অমিতকে ফোন করে হাজারীবাগ এলাকায় নিয়ে আসতে বলে ফয়সাল।
গত ২৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে অমিত শাহী ঈদগাহ এলাকাস্থ মিনারগেটের নিচে সুমাইয়ার সঙ্গে দেখা করে। সেখান থেকে মোটরসাইকেল করে হাজারীবাগ এলাকায় যায় তারা। সেখানে আগে থেকে থাকা ফয়সাল ও তার ৪ থেকে ৫ জন সঙ্গীর সাথে অমিতের কথাকাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে তারা হাতাহাতি করে। হাতাহাতির একপর্যায়ে ফয়সালসহ অন্যান্য আসামিরা অমিতের হেলমেট দিয়ে তাকে আঘাত করে এবং এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি মারতে থাকে। তখন সুমাইয়ার প্রেমিক তাহমিদ ঘটনাস্থলে আসে এবং মারামারিতে অংশগ্রহণ করে। মারামারির একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে অমিতের মৃত্যু হয় এবং তার মরদেহ এয়ারপোর্ট থানাধীন হোসনাবাদ এলাকায় ফেলে চলে যায়।
এ ঘটনায় গত ২৭ এপ্রিল অমিত দাসের বড় ভাই অনুকূল দাস (৪২) বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) ও অতিরিক্ত ডিআইজি আজবাহার আলী শেখ (পিপিএম) জানান, এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
মন্তব্য করুন