বগুড়ায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার (২২ মে) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে এ বৃষ্টিপাত।
বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। গত বছর ১২ মে জেলায় সর্বোচ্চ ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল।
এদিকে এই বৃষ্টিতে সড়কে হাঁটু পানি জমে গেছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় শহরবাসীর। বগুড়াবাসীরা বলছেন, পরিকল্পিতভাবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না হলে মিলবে না সুফল।
শহরের সাতমাথা থেকে কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, শেরপুর সড়ক, স্টেশন সড়ক, পার্ক রোড, শেরপুর সড়কের কলোনী বাজার এলাকায়, খান্দার সড়ক, গালাপট্টি সড়ক, টেম্পল সড়ক ছাড়াও কাঁঠালতলা ফতেহ আলী বাজার সড়ক, নওয়াববাড়ি সড়ক, চকযাদু ক্রস লেন-বাদুরতলা সড়ক, বড়গোলা, কাটনারপাড়া সড়কে ছিল হাঁটুপানি। এসব সড়কের দুই পাশের নালার ময়লা-আবর্জনায় ভরা নোংরা পানি উপচে পড়ে সড়কে। সড়ক ছাপিয়ে সেই পানি ঢুকে পড়ে বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও।
বগুড়া শহরে বৃষ্টির পানি জমে দুর্ভোগের চিত্র দীর্ঘদিনের। বনানী থেকে মাটিডালি পর্যন্ত প্রধান সড়কের দুই পাশে পানি নিষ্কাশনের নালা অত্যন্ত সরু। এই নালা সারা বছর ময়লা-আবর্জনায় ভরে থাকে। সামান্য বৃষ্টিতেই নালার পানি উপচে সড়কে ওঠে আসে। শহরের অন্য সড়কেও পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত নালা নেই। এ ছাড়া করতোয়া নদীর দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠায় শহর থেকে পানি বের হতে পারছে না। বর্ষার সময় সবচেয়ে করুণ চিত্র থাকে শহরজুড়ে।
বগুড়া পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, বগুড়া শহরে বিভিন্ন সময় ড্রেন পরিস্কার করলেও পরে আবারও ময়লা-আবর্জনা দিয়ে ভরে যায়। শহরের অধিকাংশ সড়কে নতুন করে ড্রেন সংস্কার করা হয়েছে। যে স্থানে সমস্যা রয়েছে সেগুলো দ্রুত সমাধান করা হবে।
মন্তব্য করুন