বগুড়ার সোনাতলা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের কর্নারে খেলোয়াড়দের চর্চা ও মেধা বিকাশের লক্ষ্যে এডিবির অর্থায়নে টেনিস বল গ্রাউন্ড নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২০ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই কাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে ঢালাই কাজ চলছে। এ ছাড়াও ইটের খোয়াতে পানি না দিয়ে ইটের গুঁড়ো যুক্ত (রাবিশ) খোয়া দিয়ে ঢালাই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে দেখা যায় ব্যবহৃত খোয়ায় প্রায় এক তৃতীয়াংশ ইটের গুঁড়ো (রাবিশ) বিদ্যমান।
এ নিয়ে সেখানে উপস্থিত সচেতন মহলে তীব্র ক্ষোভের দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের নিকট এ কাজের মান যাচাইয়ের অনুরোধ করেছেন। পরে সাংবাদিকের উপস্থিতি দেখে তড়িঘড়ি করে দায়িত্বরত সার্ভেয়ার জিয়াউর খোয়াতে পানি দিতে বলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে এডিবির অর্থায়নে ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে টেনিস বল গ্রাউন্ড। বগুড়ার মিহির কনস্ট্রাকশন কাজটি পেয়েছেন। পরে তিনি কাজটি বিক্রি করে দেন সোনাতলার চাল ব্যবসায়ী তাজুলের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মণ্ডল ট্রেডার্স’-এর নিকট। বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা প্রকৌশল অফিসের সার্ভেয়ার জিয়াউর রহমান।
এ বিষয়ে সার্ভেয়ার জিয়াউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ ঠিকভাবেই হচ্ছে। কাজের কোনো সমস্যা নেই। আপনারা যে ডাস্ট দেখতে পাচ্ছেন এটা থাকবেই। পরে তার কাছে খোয়ার সাইজ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০ মিলি খোয়া দিতে হবে। এস্টিমেট অনুযায়ী খোয়া ঠিক আছে কি না জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর দিতে না পেরে ঠিকাদার মালিক তাজুল ইসলামকে ফোনে ডেকে নেন।
পরে তাজুল ইসলামের কাছে পূর্ণ এস্টিমেট দেখতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে নেই ওটা অফিসে আছে। আপনারা ডিস্টার্ব করছেন কেন? কাজ ঠিকভাবেই হচ্ছে। আপনার এই খোয়া নিয়ে গিয়ে কাকে দেখাবেন দেখান। এমনিতেই এই ছোট একটি কাজে ছাত্রলীগ, যুবলীগ পিকনিকের টাকা চায়। আবার ক্রীড়া সংস্থার খেলোয়াড়রা ১২ হাজার টাকার বুট জুতা দাবি করে। এ অল্প কাজে এত কিছু কই থেকে পাওয়া যায়?
ঠিকাদার তাজুলের কথামতো খোয়ার স্তূপ থেকে কিছু খোয়া উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলীকে দেখালে তিনি বলেন, এই খোয়াতে প্রচুর পরিমাণে ডাস্ট আছে। এতে যথেষ্ট পানি দিতে হবে।
ওই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুল হক বলেন, আমি ট্রেনিংয়ে আছি। দায়িত্বরত ব্যক্তিকে বিষয়টি দেখার জন্য ফোনে বলে দিচ্ছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা শারমিনকে জানালে তিনি বলেন, ইঞ্জিনিয়ার সাহেব ট্রেনিং থেকে আসলে তার সঙ্গে আমি কথা বলে বিষয়টি দেখব।
মন্তব্য করুন