ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক পলাশকে বেধড়ক কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউছার ভূইয়া জীবনের অনুসারী। হামলার ঘটনায় পলাশের স্বজনরা দুর্বৃত্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জনিয়েছেন।
পলাশের স্বজনরা জানান, রোববার (১৯ মে) রাতে সোহাগ নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে সঙ্গে নিয়ে পলাশ উপজেলা সদরের শাহপুর নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় বাড়ির কাছে আগে থেকে পথে ওঁৎ পেতে থাকা কাপ-পিরিজের চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েদুল হক স্বপনের অনুসারী, জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এমএ আজিজের অনুসারীরা তাকে বেধড়ক কুপিয়ে আহত করেন।
পরে পলাশের সঙ্গে থাকা সোহাগের চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় পলাশকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
পলাশের স্বজনরা জানান, জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এমএ আজিজ প্রায়ই সাকেব ছাত্রনেতা পলাশের বাবাকে পলাশের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন। এর পরই এ ঘটনা। তারা এমএ আজিজসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য আইনমন্ত্রীর কাছেও প্রতিকার দাবি করেন।
হাসপাতারের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা না যাওয়া পর্যন্ত শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এখনই বলা যাচ্ছে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় ওয়াসিম নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
মন্তব্য করুন