জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৪, ০২:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

টাকা নিতে অস্বীকৃতি, পোলিং অফিসারকে মারধর

পোলিং অফিসার মীর আবু সাইদকে মারধরের খবর পেয়ে তার বাড়িতে ভিড় করেন স্থানীয়রা। ছবি : কালবেলা
পোলিং অফিসার মীর আবু সাইদকে মারধরের খবর পেয়ে তার বাড়িতে ভিড় করেন স্থানীয়রা। ছবি : কালবেলা

শরীয়তপুরের জাজিরায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর টাকা নিতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করায় পোলিং অফিসারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজির সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

রোববার (১৯ মে) রাত ১১টায় উপজেলার বিকে নগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (২১ মে) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে জাজিরা উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনে ২৫ নম্বর বিকে নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মীর আবু সাইদ পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। ব্যক্তিগত কাজে রাত ১১টায় বিকে নগর বাজারে গেলে আবু সাইদকে এক যুবক ডেকে নিয়ে যান বিকে নগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সরদার, আব্দুল আলী সরদার ও মজিবুর বানিয়ার কাছে।

এ সময় আবু সাইদকে নির্বাচনের দিন মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন। বিনিময়ে তাকে মোটা অঙ্কের টাকাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। আবু সাইদ এমন প্রস্তাবে রাজি হননি। এরপর সাইদুর রহমান সরদার, আব্দুল আলী সরদারসহ অন্যরা তাকে মারধর করেন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় জাজিরা উপজেলার শিক্ষকসহ অন্যান্যদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

পোলিং অফিসার ও শিক্ষক আবু সাইদ বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমাকে। ব্যক্তিগত কাজে বাজারে গেলে একজন লোক আমাকে ডেকে নিয়ে যায় সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানসহ অন্যদের কাছে। তারা আমাকে টাকার বিনিময়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে কাজ করার জন্য প্রস্তাব দিলে আমি অস্বীকৃতি জানাই। এরপর তারা আমাকে মারধর করেছে।

তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি চিন্তিত হয়ে পড়েছি। আমি আমার সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে অভিযোগ দেব।

মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থক ও বিকে নগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সরদার বলেন, আপনি কোথা থেকে বিষয়টি জেনেছেন, তা আমি বুঝতে পারছি না। মীর আবু সাইদ এমন কোনো বংশের ছেলে নয় যে, তাকে ম্যানেজ করতে পারলে ১০০ ভোট পাওয়া যাবে। হতে পারে সে সরকারি চাকরিজীবী ও পোলিং অফিসার। তার সঙ্গে আমাদের কারও এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

বিষয়টি নিয়ে জানার জন্য মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজির মোবাইল নম্বরে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম লুনা কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। যদি লিখিত অভিযোগ পাই তাহলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নারায়ণগঞ্জে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কাপড় জব্দ

ইদানীং শিক্ষকদের এক ধরনের হেয় করার প্রবণতা তৈরি হয়েছে

মানুষ হয়ে ওঠার শিক্ষা খুব জরুরি

কক্সবাজার সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রদল নেতা নিহত

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে বন্ধন সেটি ছিন্ন হয়ে গেছে

হত্যা মামলায় রসিকের সাবেক কাউন্সিলর মিলন গ্রেপ্তার

শিক্ষকদের শিক্ষাবাণিজ্য থেকে বেরিয়ে আসতে হবে

হুইলচেয়ারে বসেই আলো ছড়াচ্ছেন ফয়সাল

হেঁটে এক টাকায় জ্ঞান বিলিয়ে যাচ্ছেন লুৎফর রহমান

সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী মারা গেছেন

১০

ময়মনসিংহে মায়ের হাতে মেয়ে খুন

১১

কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না : সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

১২

টিসিবির পণ্যসহ আটক বিএনপির সেই সভাপতিকে অব্যাহতি

১৩

বাংলা ভাষাকে ‘ধ্রুপদী ভাষা’র মর্যাদা দিল ভারত

১৪

রাজশাহী মহানগর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

১৫

শেরপুরে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে বিজিবি

১৬

চট্টগ্রামে ফের তেলের ট্যাংকারে ভয়াবহ আগুন

১৭

আসিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চায় বাংলাদেশ

১৮

খুলনায় সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৪ নেতাকে বহিষ্কার

১৯

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ৫ পরিচালকের যোগদান

২০
X