আমানুল্লাহ আমান, ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৪, ০৮:৪১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিএনপি অধ্যুষিত জয়পুরহাটে সর্বোচ্চ ভোট, সমীকরণ মিলছে না

জয়পুরহাট জেলা ম্যাপ। গ্রাফিক্স : কালবেলা
জয়পুরহাট জেলা ম্যাপ। গ্রাফিক্স : কালবেলা

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বিএনপি অধ্যুষিত জয়পুরহাটে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে। অথচ দলটির হাইকমান্ড বরাবরই নেতাকর্মীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ কিংবা ভোট দিতে নিষেধ করে আসছে। তারপরও জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় ৭৩.১৬ এবং কালাইতে ৬৯.৭৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।

বিএনপির ভোট বর্জনের ডাকের মধ্যেই এত বেশি ভোট পড়ায় এ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ও জেলা-উপজেলার নেতাদের বাঁকা চোখে দেখছে দলের হাইকমান্ড। জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতাদের ইশারায় স্থানীয় নেতারা টাকার বিনিময়ে বা ক্ষমতায় গেলে সুবিধা পাবেন- এমন আশায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষ নিয়ে ভোট করেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, ব্যাপক উন্নয়নের কারণে বিএনপিমনা ভোটাররাও আওয়ামী লীগ মুখী হয়েছে। কারও কারও দাবি, ভোট অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য ভোটাররা ভোটমুখী হয়েছে। আবার বিএনপির কিছু নেতা টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে ভোটও করেছে।

তবে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে এত সংখ্যক ভোট দেখানো হয়েছে।

কিন্তু ভোটের সচিত্র বলছে ভিন্ন কথা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়েও বেশি উৎসবমুখর ও জনসম্পৃক্ত ছিল এ জেলার ১ম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোটের দিন সকালে বৃষ্টির জন্য ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভোটারদের সারি। দুপুর ১২টার মধ্যেই বেশিরভাগ কেন্দ্রে ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়ে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ জেলায় বিএনপির নির্বাচন বয়কটের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন ছিল চোখে পড়ার মত। ভোটারদের কেন্দ্রে না যেতে প্রায় প্রতিদিনই ভোট বর্জনে লিফলেট বিতরণ ও সভা সমাবেশ করেছে স্থানীয় বিএনপি। কোনো কোনো প্রোগ্রামেই উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে বিএনপির রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন, জয়পুরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেনসহ জেলার বিভিন্ন নেতাদের। প্রোগ্রামগুলোতে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা আব্বাস আলীকে।

তাদের ভোট বর্জনের কর্মসূচিগুলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিতে বেশ প্রভাবও ফেলে। বিএনপিমনা বেশিরভাগ ভোটারই ভোটকেন্দ্রে যাননি।

তবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি ভোট বর্জন সিদ্ধান্তে অটল থাকলেও স্থানীয় নেতারা তার খুব একটা তোয়াক্কা করেনি বলে মত অনেকের। সংসদ নির্বাচনে ভোট বর্জনে বিভিন্ন কর্মসূচি দিলেও এ জেলায় উপজেলা নির্বাচনে তেমন কোনো কর্মসূচি পালন করেনি জয়পুরহাট জেলা কিংবা উপজেলা বিএনপি। উল্টো তাদের পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষ নিয়ে ভিতরে ভিতরে তাদের পক্ষে কাজ করেছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা অনেকটা প্রকাশ্যেই বিএনপিমনা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে বিএনপি নেতাদের পছন্দ করা ব্যক্তিকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগ থেকে বাদ নেই উপজেলা বিএনপি নেতারাও।

আরও অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের সঙ্গে আঁতাত করে অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে ভোট কেনাবেচায় তারা জড়িত ছিল এবং তাদের সম্মতি ছিল। ফলে দলের ভোট বর্জনের আহ্বান ও কর্মসূচিকে তারা গুরুত্ব না দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে দায়সারা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ভোটের মাঠ ছেড়ে দিয়েছেন। এ জেলার বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলও এর জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।

এবারের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষেতলাল উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাকিম মন্ডল, সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তাইফুল ইসলাম তালুকদার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার ও অপর প্রার্থী নাজ্জাসী চৌধুরী। এর মধ্যে দুলাল মিয়া সরদার ৩০ হাজার ৪০০ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তাইফুল ইসলাম তালুকদারকে সাড়ে ৭ হাজার ভোটে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের পক্ষ নিয়ে ভোট করার অভিযোগ উঠেছে খোদ ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমান ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।

খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমানের আপন বড় ভাই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি, উপজেলা বিএনপির সদস্য, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাবলু ও রাজশাহী বিভাগীয় যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবাইদুর রহমান সুইটসহ অনেকেই আলমপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুলাল হাজির দোয়াত কলমের পক্ষে ইউনিয়ন বিএনপি এবং জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট প্রদানে উৎসাহ যুগিয়েছেন, টাকা বিতরণ করেছেন। তারা এসব করেছেন কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবাইদুর রহমান চন্দন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন ও যুগ্ম-আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধানের যোগসাজশে- এমন অভিযোগও রয়েছে।

যার প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে আলমপুর ইউনিয়নের ফলাফলে। এই ইউনিয়নেই উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমানসহ বেশকিছু প্রভাবশালী বিএনপি নেতাদের বাড়ি। গত সংসদ নির্বাচনে পুরো উপজেলার মধ্যে এ ইউনিয়ন সবচেয়ে কম ভোট পড়েছিল। আর এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সে সংখ্যাটা বেড়েছে।

কয়েকটি ইউনিয়নের সভাপতি ও সেক্রেটারিরা বিজয়ী প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের পক্ষ নিয়েছিল বলে কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির বেশ কয়েকজন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা। আবার কয়েকটি ইউনিয়নে মোস্তাকিম মন্ডলের পক্ষেও কাজ করেছেন কিছু তৃণমূল নেতা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব নেতারা কৌশলী ছিলেন। নিজেদের আড়াল করে তৃণমূলে নিজেদের কর্মীদের ব্যবহার করেছেন তারা।

কালাই উপজেলাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন- বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনফুজুর রহমান রহমান মিলন, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এবং সাবেক মেয়র তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার বেলাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাত্রাই ইউপি চেয়ারম্যান আ ন ম আহসান হাবীব তালুকদার লজিকের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন হাবীব।

এর মধ্যে মিনফুজুর রহমান মিলন ৪২ হাজার ৪৫৪ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার বেলালকে ১১ হাজার ৫১১ ভোটে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

অভিযোগ রয়েছে, কালাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইব্রাহিম ফকির অনেকটা প্রকাশ্যেই চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার বেলালের পক্ষ নেন। এমনকি উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের দলীয় কার্যালয়ে ডেকে বেলালের পক্ষে ভোট করার জন্য অনুরোধ করেন। এমনকি শেষ পর্যন্ত তার অনুসারীদের নিয়ে বেলালের পক্ষে ভোটও করেন।

কালাই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বললে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন কালবেলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইব্রাহিম ফকির এবং যুগ্ম-আহ্বায়ক টুকু চৌধুরীসহ সিনিয়র নেতারা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পার্টি অফিসে ডেকে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলাল তালুকদারের পক্ষে সরাসরি ভোট করার জন্য বলেছেন এবং ইব্রাহিম ফকির নিজে বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়েও ভোটারদের ভোট প্রদানে উৎসাহ যুগিয়েছেন। এ সমস্ত কিছুই তারা করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবাইদুর রহমান চন্দন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান, মুঞ্জুর মওলা পলাশসহ জেলার নেতাদের ইশারায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্ষেতলালের এক সাবেক ছাত্রনেতা কালবেলাকে বলেন, যারা দলের সিদ্ধান্তকে না মেনে দলের বিরুদ্ধে কাজ করে তারা মীরজাফর। তারা দলের সঙ্গে বেইমানি করেছে। করবেই না বা কেনো, কালা -ক্ষেতলালে যাদের পদে বসানো হয়েছে তারা কেউই যোগ্য ব্যক্তি নন। যেভাবে কমিটি করা হয়েছে তা সঠিক হয়নি। অযোগ্যদের পদে বসালে তারা দলকে বিক্রি করবে এটাই স্বাভাবিক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা কালবেলাকে বলেন, দলের দুর্দিনে যখন জয়পুরহাট জেলায় রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম করার জন্য, কারাবন্দি নেতাকর্মীদের এবং তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কেউ ছিল না তখন আমি আমরা গুটি কয়েকজন রাজপথে সক্রিয় ছিলাম। আর যারা রাজপথে সক্রিয় ছিল না, মোবাইল বন্ধ করে আত্মগোপনে ছিল তারাই আজকে সরকারের ফাঁদে পা দিয়ে বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করছে এবং উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা খেয়ে সরাসরি বিএনপির কর্মীদের ভোট প্রদানে উৎসাহ যুগিয়েছেন। তাই দলের হাইকমান্ডের প্রতি আকুল আবেদন দ্রুত দলের দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া।

অভিযোগ অস্বীকার করে ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমান কালবেলাকে বলেন, আমি কারও পক্ষ নিয়ে কাজ করিনি। মানুষজন টাকার বিনিময়ে ভোট দিয়েছে। আমরা ভোটারদের নিরুৎসাহিত করেছি, কিন্তু কাজ হয়নি। তার ভাই সাবলু চেয়ারম্যানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি দুলাল হাজির পক্ষ নিতে পারে আমি সঠিক জানি না।

কালাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইব্রাহিম ফকির কালবেলাকে বলেন, আমি কারও পক্ষে ভোট করার জন্য বলিনি। প্রমাণ থাকলে দেন। বরং ভোট বর্জনের জন্য বলেছি কেউ শুনেছে কেউ শুনেনি।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন কালবেলাকে বলেন, এত ভোট পড়াটা দুঃখজনক। হাইকমান্ড থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। আমি কারও পক্ষ নেয়নি বা কাউকে বলিনি। আমিতো বেলালকে তেমন চিনিই না। মিলনকে চিনি। আর ক্ষেতলালের দুলাল, তাইফুল বা মোস্তাকিমের নাম জানি তবে সামনাসামনি কখনও দেখা হয়নি।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আরও বলেন, ইব্রাহিমের বিষয়ে আমাদের কাছেও তথ্য এসেছিল। আমি তাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে দিয়েছিলাম। তাকে নিষেধ করার জন্য তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো নেই। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো শক্ত প্রমাণ না থাকায় আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি নি। যাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রমাণ পেয়েছি তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে তাকেও বহিষ্কার করা হবে। তবে খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমানের বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি। আপনার কাছে কোনো প্রমাণ থাকলে আমাদের দেন আমরা ব্যবস্থা নেব।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী) এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আলমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম কালবেলাকে বলেন, অতীতে বিএনপি এ অঞ্চলকে বিএনপি অধ্যুষিত দাবি করলেও এখন আর করতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের উন্নয়নের জন্য সাধারণ ভোটাররা এখন আওয়ামী লীগমুখী।

বিএনপি নেতাদের ভোটে পক্ষ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুখে ভোট বর্জনের কথা বললেও টাকা খেয়ে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট করেছে। খোদ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আঞ্জুমান ও তার চাচা সাবলু সাড়ে ৬ লাখ টাকা নিয়ে দুলাল মিয়ার পক্ষে ভোট করেছে। এটা সবাই জানে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

গাজীপুরে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে পোশাক কারখানা

বৃষ্টি আর কত দিন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

ইসরায়েলি হামলায় সিরিয়া-লেবানন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

দুপুরের মধ্যে ঝড় হতে পারে যেসব অঞ্চলে

আরেক দেশ থেকে ইসরায়েলে হামলায় ২ সেনা নিহত, আহত ২৪

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে জবির স্লোগান ‘বিপ্লবে বলীয়ান নির্ভীক জবিয়ান’

শিক্ষক দিবসে যেসব কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে

হত্যা মামলায় রসিকের সাবেক কাউন্সিলর মিলন গ্রেপ্তার

বৈরুত বিমানবন্দরের পাশেই ইসরায়েলি তাণ্ডব

১০

সিলেটে রায়হান হত্যা মামলায় ২ যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১১

৫ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১২

রোহিঙ্গা সংকট একটি তাজা টাইম বোমা : ড. ইউনূস

১৩

বন্যার পানিতে মায়ের লাশের সঙ্গে ভেসে এল শিশু

১৪

লেবাননের যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষ, পিছু হঠল ইসরায়েলি বাহিনী

১৫

সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর জানাজা কখন-কোথায়?

১৬

আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসবে বিএনপি

১৭

সকালের মধ্যে দেশের ১৮ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

১৮

৫ অক্টোবর : নামাজের সময়সূচি

১৯

আজও কি দিনভর সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে?

২০
X