প্রধানমন্ত্রী যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা শতভাগ সততার সঙ্গে পালন করতে চান বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ। তিনি বলেন, চট্টগ্রামকে একটি পরিকল্পিত বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করব। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য পূরণে একজন কর্মী হিসেবে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে সচেষ্ট থাকব।
শুক্রবার (১৭ মে) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারতের পর বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ এসব কথা বলেন।
দায়িত্ব গ্রহণের পর সিডিএ চেয়ারম্যান হিসেবে এই প্রথম বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ গত বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। এরপর শুক্রবার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার কবর জিয়ারত শেষে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন তিনি। এ দিন ভোর থেকে জাতির পিতার সমাধি কমপ্লেক্সে খতমে কোরআনের আয়োজন করা হয়। শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা নওয়াব আলী।
এ সময় সিডিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক দেশটি সৃষ্টি হতো না। এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের কোনো উন্নয়ন হতো না। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ছেলেমেয়েরা কখনো উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেত না। বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন ও আদর্শ ধারণ করে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে চাই।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন জানিয়ে ইউনুস বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে প্রতিরোধ লড়াইয়ে শামিল হয়েছিলাম। আজও ষড়যন্ত্রকারীরা তৎপর, তাদের সকল চক্রান্ত নসাৎ করতে বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
টুঙ্গীপাড়ায় সিডিএ চেয়ারম্যানের সফরসঙ্গী হয়েছেন চট্টগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা, সিডিএ কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, শহীদ পরিবারের সদস্য, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সাংবাদিক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর সময় আর উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. শাহ আলম, নৌ কমান্ডো আনোয়ার মিয়া, সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, সচিব মিনহাজুর রহমান, উপ-সচিব অমল গুহ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এএমএম হাবিবুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর হাসান, এজিএম সেলিম, আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইলিয়াস, আ হ ম মেসবাহ উদ্দিন, আবু ঈছা আনসারী, মাহফুজুর রহমান, মোহাম্মদ শামিম, রাজীব দাশ, মোহাম্মদ হাসান, তানজীব হোসেন, জহির আহমদ, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজের, সাদেকুর রহমান, মোহাম্মদ হামিদুল হক, মোহাম্মদ জমির, আবদুল হান্নান, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রণি, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম নোবেল, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিশ ইমরান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন