বাঘের পর এবার কুমিরের মুখ থেকে ফিরে এসেছেন আবদুল কুদ্দুস (৫৫)। শনিবার (১১ মে) সুন্দরবনের কলাগাছী নদীতে কুমিরের আক্রমণে আহত আবদুল কুদ্দুস সোমবার লোকালয়ে ফেরেন। এর আগে ২০১৫ সালে বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি।
আবদুল কুদ্দুস শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী গ্রামের বাসিন্দা। কুমিরের আক্রমণে তার বাঁ হাত জখম হয়েছে।
আবদুল কুদ্দুসের ছোট ভাই আবদুল হালিম জানান, শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে কলাগাছী নদীর চরে বসে গোসল করছিলেন তার ভাইসহ পাঁচজন। কিছু বুঝে ওঠার আগে একটি কুমির কুদ্দুসকে আক্রমণ করে। গোসল করার একপর্যায়ে তার বাঁ হাত কামড়ে ধরে নদীতে নিয়ে যায় কুমিরটি।
আবদুল হালিম আরও বলেন, কুদ্দুসকে নদীর মধ্যে দাপাদাপি করতে দেখে সবাই হকচকিয়ে যান। এ সময় পানির ওপরে লেজ দেখতে পেয়ে তারা বুঝতে পারেন, কুদ্দুসকে কুমির ধরেছে। সঙ্গে সঙ্গে লাঠি, পাতিল আর নৌকার বইঠা দিয়ে পানিতে জোরে জোরে আঘাত করে শব্দ করার পাশাপাশি কুদ্দুসের দুই পা ধরে টানাটানি শুরু করেন। পরে শিকার ছেড়ে চলে যায় কুমিরটি। পরে কুদ্দুসকে উদ্ধার করে নৌকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
কুদ্দুস বলেন, কুমির যখন ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল, মনে হয়েছিল আর বাঁচব না। একদিকে কুমির, অন্যদিকে সঙ্গীরা ধরে টানাটানির একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এর আগে ২০১৫ সালে মধু কাটতে গিয়ে সুন্দরবনের তালপট্টি এলাকায় বাঘের কবলেও পরি আমি। সেবারও সঙ্গীদের চেষ্টায় ফিরে আসতে পেরেছিলাম।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এ কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী বলেন, গত ১ এপ্রিল থেকে সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ শুরু হয়েছে। সুন্দরবনে গিয়ে বাঘ, কুমিরসহ হিংস্র প্রাণী থেকে নিরাপদে থাকার বিষয়ে যাত্রা শুরুর প্রাক্কালে মৌয়ালদের সতর্ক করা হয়।
মন্তব্য করুন