চট্টগ্রামে মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সাবেক চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দীন।
বুধবার (১৫ মে) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জসিম উদ্দিন তার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
এর আগে সোমবার (১৩ মে) সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। এদিন শুনানিতে এসে অসুস্থ বোধ করেন পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। এ ছাড়া দুজন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির না হওয়ায় ওইদিন সাক্ষ্যগ্রহণও হয়নি।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আব্দুর রশীদ বলেন, বুধবার একজন সাক্ষীর জেরাও শেষ হয়েছে। আগামী ১ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এ নিয়ে মামলায় এখন পর্যন্ত ৫০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হলো। এ মামলায় সাক্ষী রয়েছে ৯৭ জন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সে সময়কার চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এসপি বাবুল ওই ঘটনার কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম থেকে বদলি হন। তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে যাওয়ার পরপরই চট্টগ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। সাড়ে তিন বছর তদন্ত করেও ডিবি পুলিশ কোনো কূলকিনারা করতে না পারার পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই।
এরপর ২০২১ সালের মে মাসে পিবিআই জানায়, স্ত্রী মিতুকে হত্যা করা হয়েছিল বাবুল আক্তারের পরিকল্পনায়। আর এজন্য খুনিদের লোক মারফত তিন লাখ টাকাও দিয়েছিলেন বাবুল। পরে বাবুলের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর মিতুর বাবা আরেকটি মামলা করেন। তবে সেই মামলা আদালতে না টেকার পর বাবুলের মামলাটিই পুনরুজ্জীবিত হয়।
গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর সেই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই। তাতে বাবুলসহ ৭ জনকে আসামি করা হয়। এরপর গত বছরের ১০ অক্টোবর সেই অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত।
মন্তব্য করুন