‘ভোটের প্রতি মানুষের আস্থা নেই, বিশ্বাস ওঠে গেছে। সারাদিন দুইশ-তিনশ ভোট পড়ছে। বিকেলে তা বানানো হচ্ছে ৩ হাজার । এ কারণে ভোটের ওপর মানুষের আস্থা নেই।’ ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রচারে এমন মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহসম্পাদক কামরুল হাসান খোকন। মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে সদর উপজেলার রুহিয়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচার সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। খোকন বর্তমানে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা ওর্য়াড আওয়ামী লীগের সদস্য।
তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা আসে না। হাত ধরে টেনে আনলেও আসতে চায় না। কেন্দ্রে সারাদিন সাংবাদিক-গণমাধ্যমকর্মীরা, রাজনৈতিক দলের নেতা, বিভিন্ন প্রার্থীর পোলিং এজেন্টরা থাকছে। তারাই দেখছেন সারাদিন ধরে একটি কেন্দ্রে ভোট পড়ছে ৩০০। আর বিকেল হলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ঘোষণা দিচ্ছেন তিন হাজার ভোট পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি আওয়ামী লীগ করি, এর জন্য আমরাই দায়ী। আমরা এমনভাবে রাজনীতি করছি যে, এখানে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ থাকবে না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আওয়ামী লীগ থাকবে, বিএনপিসহ সব দল থাকবে। স্বাধীনতার ৫২ বছরে এ দেশে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি।
খোকন বলেন, রাজনীতিবিদরা রাজনীতিকে নষ্ট করে এটাকে ব্যবসায় পরিণত করছে। চালাকি, ধান্ধাবাজী আর চালবাজি করে আমরা ভোটটা করছি। এ কারণে মানুষের ভোটের প্রতি আস্থা নেই। ভোট দিতে মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসতে চায় না।
খোকনের বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সানোয়ার পারভেজ পুলক বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।
ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. ইন্দ্র নাথ রায় বলেন, আমরা তার লাগাম টেনে ধরতে পারি না।
এ বিষয়ে কামরুল হাসান খোকনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তার ফোনটি রিসিভ হয়নি।
ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা। এই উপজেলায় আওয়ামী লীগের চারজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন।
মন্তব্য করুন