বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরির অভিযোগে হীরন্ময় সরকার নামে পুলিশের এক পরিদর্শককে (তদন্ত) প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি বাগেরহাটের মোংলা থানায় কর্মরত ছিলেন। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমান।
ভুক্তভোগী ওই নারী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) চাকরির সুবাধে যশোর থাকার সময়ে ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় হীরন্ময় সরকারের। পরিচয় থেকে হয় প্রেম। এরপর বিয়ে করার প্রলোভনে তারা শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এইভাবে কেটে যায় প্রায় চার বছর। এরই মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই নারী। পরে জোরপূর্বক গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করা হয় বলে অভিযোগ ৩২ বছর বয়সী ওই নারীর। যদিও এ ঘটনার পর বিয়ের চাপ দিলে হীরন্ময় সরকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেন ভুক্তভোগীর সঙ্গে।
গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিষয়টি মোংলা থানার ওসি ও সহকারী পুলিশ সুপারকে অবহিত করেন তিনি। পরে শনিবার (১১ মে) বাগেরহাট পুলিশ সুপার মো. আবুল হাসনাত বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও দাখিল করেন ওই নারী।
ওই নারীর অভিযোগ, নিজের ধর্ম পরিচয় লুকিয়ে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন হীরন্ময় সরকার। এরপর এ ঘটনায় দৈনিক কালবেলা এবং একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে তোলপাড় শুরু হয়।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমান জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে অভিযুক্ত হীরন্ময় সরকারকে মোংলা থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। যেহেতু হীরন্ময়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে অভিযোগ দাখিল করেছেন ওই নারী। বিষয়টি তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে পুলিশের এই কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত হতে পারেন।
মন্তব্য করুন