বহুমুখী শিক্ষায় ঈর্ষণীয় সাফল্য পেয়েছে সীমাখালী ইসলামিয়া আইডিয়াল একাডেমী। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কোরআন শিক্ষা ও হিফজের ব্যবস্থাও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। এ বছর দাখিল পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটির ২৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজন গোল্ডেনসহ জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৬ জন।
জানা গেছে, এবার দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তিনজন হাফেজ রয়েছেন। তাদের মধ্যে মাত্র ১৮ মাসে হেফজ শেষ করেছেন হাফেজ রাকিব বিশ্বাস।
মাদ্রাসার অভিভাবক মাওলানা মফিজুর রহমান জানান, সন্তানরা হেফজ পড়তে গিয়ে অনেক সময় দেখা যায় পিছিয়ে পড়েন। ফলে তাদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে অনেক সময় ভর্তি হওয়ার মতো সুযোগ থাকলেও বয়সের কারণে সেটি আর হয়ে ওঠে না। সেই দিক বিবেচনায় প্রতিষ্ঠানটি অনন্য।
আরেক অভিভাবক জানান, সন্তানদের কোরআন পড়া শেখানোর পাশাপাশি জেনারেল ক্লাসগুলোও শেষ করার ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে বয়সের গ্যাপ ছাড়াই সন্তানরা স্বাভাবিক পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছেন।
প্রতিষ্ঠানটি থেকে প্রতি বছর দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা এ সময়ের মধ্যে ১০ পারা হিফজ সমাপ্ত করে থাকেন। আধুনিক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় হিফজের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। মাদ্রাসায় শিক্ষার পাশাপাশি বিগত বছরগুলোতে হুফ্ফাজুল কোরআন প্রতিযোগিতায়ও সাফল্যে পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।
প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ২০১৭ সালে যাত্রার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি মেধার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও সাফল্য পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের পরিশ্রম আর ছাত্রদের অধ্যাবসায়ের ফলে এটি অর্জন সম্ভব হয়েছে। আজকের এ সাফল্যে ছাত্র, শিক্ষক এবং অভিভাবকসহ সবাই অত্যন্ত আনন্দিত।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছর বোর্ড পরীক্ষায় মাগুরা জেলার শীর্ষস্থানীয় অবস্থান ধরে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। মূলত কোরআনের পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা যাতে পিছিয়ে না পড়ে সেই চিন্তা থেকে এমন বহুমুখী শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন